ভোর হলে দোর খোলে না
খুকুমণির চোখে এখন খিল,
কাঠবিড়ালি আর দেখি না,
কোথায় যেন হচ্ছে গরমিল।
লিচুচুরি করে না কেউ
‘বাবুদের তালপুকুরে’
মানুষ হবে বলে নাকি!
বন্দি হয়েছে খুকি ঘরে৷
কাণ্ডারী তো হয়নি হুঁশিয়ার
তোমার কবিতা পড়ে,
কাণ্ডারী চোখে বেঁধে ঠুলি
বিভেদের প্রাচীর গড়ে।
আমরা এখন সেই কাণ্ডারী চাই
যে সাম্যের গান গায়,
হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান বৌদ্ধ শিখ
সব যেন ভাইভাই।
জাতের নামে বজ্জাতি বাড়ে
রাজনীতি ব্যবসায়,
ভজনালয়ের ভণ্ড এখন
ভোটের গীত গায়।
পুরুষনারীর ভেদাভেদ নেই
তোমার কবিতায় পড়ি,
পান থেকে চুন খসলে আজও
নারীর দোষ ধরি।
ঋণ শুধু বাড়ছে রাজার
রাজা করে না শোধ ঋণ,
‘ রঙধরা চামড়ার আবরণ’
খুলে কবে আসবে জানি না
সেই কাঙ্ক্ষিত শুভদিন।