T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় তীর্থঙ্কর ভট্টাচার্য
by
·
Published
· Updated
রবিরশ্মি
ঘুলঘুলি দিয়ে গোলাকার আলোকচক্র আজ বইয়ের তাকের ওপর পড়েছে। তাপস আজ জানে ওগুলো একেকটা রবির প্রতিবিম্ব। ঘুলঘুলির ফাঁকগুলো ঘরটাকে সূর্যরশ্মির একটা সূচীছিদ্র ক্যামেরা বানিয়ে দিয়েছে। বহুবছর পর এই ঘরটা তে ফিরে এসেছেন মার্কিন বিখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক তাপস কর্মকার। এই ঘুম ভাঙল।
রবিকিরণে আজ যেন উজ্জ্বলতর দেখাচ্ছে বইগুলো। রবীন্দ্র রচনাবলী।
কত কথা পড়ল মনে। তার বাবা একটা একটা করে জমিয়ে তাকটা ভর্তি করে দিয়েছিল। পুরনো বইয়ের দোকানে তার বাবা কাজ করত। বেশি লেখাপড়া জানত না কিন্তু ছেলের ওপর ছিল অনেক আশা। আশা ছিল ছেলে বইগুলো পড়ে কৃতী হবে।
পড়া হয়নি তাপসের অন্যান্য কাজের ব্যস্ততায়। দেশ ছেড়েছিল। এখন কদিন ফিরে এসে রয়েছে ছোটবেলার আস্তানায় যেখান থেকে শুরু হয়েছিল পথ চলা। মহামারীর আশ্রয়।
বিবর্ণ পুরনো বইগুলো। তাকটার পাশে আরও পুরনো একটা ছবি টানানো বাবার। দৃষ্টি ঘোরাঘুরি করল কয়েকবার দুদিকে। মোবাইল টা বেজে উঠল।
সম্বিৎ ফিরে চোখমুখ ধুয়ে এল তাপস। মোবাইল টা অফ করে তাক থেকে প্রথম খণ্ডটা নিয়ে পড়তে শুরু করে দিল। আজই ত রবীন্দ্র জয়ন্তী।