T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় সুতপা পূততুণ্ড
by
·
Published
· Updated
পথিক
কোনো কোনো পথ অন্য পথের পথ আগলে দাঁড়ায়! নীলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল!
নীলা সঞ্জয় কে ভালোবাসত,আর সঞ্জয়ও হয়ত নীলার প্রতি একটা আকর্ষণ অনুভব করত।প্রথম চিঠি সঞ্জয় লিখল,” জানিস নীলা তোর কথাই ভাবছিলাম! পড়ন্ত বিকেলে,যখন সূর্য ডুবে যেতে যেতে কিছুটা উত্তাপ রেখে যায়! সিঁদুরে লাল রঙ রেখে যায়! মনে হোলো যেন তোর কপালে এসে থমকে গেল! তুই কি এখনো লাল বড় টিপ পড়িস? মনে আছে সেই বই মেলায় ধুলোর ঝড়ে! কফির কাপের প্রথম চুমুক?”
ইতি সঞ্জয়।
নীলা এত কাব্য করে চিঠি লিখতে পারে না,ওর বন্ধু সাথী কে চিঠির বয়ান লিখতে বলে কলেজে চলে গেল,বল্ল বিকেলে এসে চিঠিটা নিয়ে যাবে।
সাথী চিঠির উত্তর লিখে দিল!
” মনে আছে মনে আছে সব মনে আছে,তোমার কি মনে আছে? বুক পকেটের ভাঙা বোতাম পাঞ্জাবী তে চুল আটকে যাওয়া? সে এক বিপত্তি!
কফিতে চুমুক দিতে গিয়ে তুমি বললে কাপে নয়! ঠোঁটে চুমুক দাও! আমার লজ্জা পাওয়া দেখে তুমি ইয়ার্কি মেরে বলেছিলে,আরে এত সিরিয়াস নিস না! এত লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই!”
এই ভাবেই চিঠি আদান প্রদান প্রেম নিবেদন চলতে চলতে সাথীর মনে সঞ্জয়ের প্রতি ভালোবাসা গভীর হতে লাগল।নীলা একটাও চিঠি পড়ে না,চিঠি আসলেই সাথী কে দিয়ে যায়।
এদিকে নীলার বিয়ে সঞ্জয়ের সাথে ঠিক হয়ে গেল!
হঠাৎ নীলা এসে হাজির,সাথী! জানিস আমি ওর চিঠিগুলো আজ মন দিয়ে পড়লাম,ও তো আমায় লেখে নি! ও তোকে লিখেছে! তুই ওকে বিয়ে কর,তোরা সুখী হবি।
সাথীর মুখটা লাল দেখে নীলা বলল সঞ্জয় আর আমার পথ এক নয় রে!তুই ওর জন্যে সঠিক। তোরা দুজন একই পথের পথিক।