• Uncategorized
  • 0

T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় নার্গিস পারভিন

রইমার জন্মদিন

কয়েকদিন ধরে সল্লীর-মনে এক ভাবনা ঘুরঘুর করছে! ভিতরে ভিতরে সে এক অপরিসীম উত্তেজনা অনুভব করছে! এখনও সে ভেবে উঠতে পারছে না কিভাবে চমকটা দেবে তার রইমাকে! কিভাবে কাজটা সম্পন্ন করবে সে! শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে তো! আনন্দ আর সংশয়ের দোলায় দোদুল্যমান সে। এই প্রথম রইমার জীবনের বিশেষ দিনটিতে রইমাকে বেশ একটা চমক দেওয়া যাবে! রইমাকে খুশি করার জন্য, চমক দেওয়ার জন্য এর থেকে ভালো সুযোগ আর হতেই পারে না! অবশ্য
এই চমকে দেওয়ার পরিকল্পনায় রইমাও নেহাত কম যায় না। কত যে নিত্যনতুন চমকের পরিকল্পনা করতে থাকে রইমা, তাদের মুখের এতোটুকু হাসি দেখার জন্য! সেই রইমাকে সল্লী এবার একটা চমক দেবেই। কেবল চমক নয় ভালোবাসারও তাগিদ বটে। সল্লী যে রইমার চোখের ভাষা, মনের কথা পড়তে পারে। তাই যেমন সল্লীদের জন্য মেঘ না চাইতে জল এনে দেয় রইমা, তেমনি এবার রইমার মনের গোপনে বেড়ে ওঠা ইচ্ছার গোড়ায় জল দেবে সল্লী। কিন্তু এই কাজ তার একার পক্ষে সামলানো সম্ভব নয়। তাই দাদাকে দলে নিয়ে নেয় সল্লী। জন্মদিন আসার আগেভাগেই উপহার কিনে সাজিয়ে রাখে দুই ভাইবোন। এলো সেই সুদিন! ভোরে উঠে সল্লী নিজের হাতে গাঁথল বকুল ফুলের মালা। ফুল যে রইমার পছন্দের। সেই ভোরেই সল্লী তার দাদার সঙ্গে চলল রইমার বাড়ি। অত সকালে সল্লীদের দেখে সকলেই হতবাক! কি ব্যাপার রে এত সকাল সকাল! সব কুশল তো! “কুশল তো বটেই, বলছি বলছি রোসো।” রইমার ঘরের দিকে এগোতে থাকলো সল্লীরা। অনুসন্ধিৎসু সকলেই অনুসরণ করল তাদের। তখনও ঘুমাচ্ছে রইমা। জাগিয়ে দিল সল্লী। তাঁর পায়ের সামনে রেখে দিল ধুতি-চাদর, বই, আর বকুল ও বেলি ফুলের মালা। ভক্তিভরে প্রণাম করে সল্লী ওরফে সরলা তার রইমা ওরফে রবি মামাকে বলল, “শুভ জন্মদিন রইমা! আজ যে পঁচিশে বৈশাখ!”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।