ঘাটের বন্ধনে তুমি ধরা দাওনি কোনদিন
মৃণালিনীর সোনার কাঁকন ভাঙিয়ে সোনার শান্তিনিকেতন
এত বড় আবেগও বাঁধতে পারেনি তোমাকে আর
বাঁধা তো দূরের কথা, ছুঁতেই পারি না তোমাকে ততটা খোয়াই যতটা মন ছুঁয়ে যায়!
আমার কুটির, সোনাঝুরির হাট, সময়ের ঝুরি নামা সেই আলোকিত বটে
আছড়ে পড়ে যখন আমাদের হিল্লোল কল্লোল
কফিশপ থেকে রিসর্ট ভেসে যায় কবিতা ও পরকিয়ায়
সেই ফাঁকে কেটে পড়ো কালের পথে
কোলাহল চাপা পড়ে মরে তোমার যাত্রার ধ্বনি
ট্রাফিক সিগন্যালে তোমার সুর ভজনার কয়েক সেকেন্ডে চাপ নেই
মূদ্রাদোষে মন্দির দেখলেই কপাল ছোঁবে হাত
এখানে ভক্ত ও ভগবানের ছোঁয়াছুয়ি বিষয়ে প্রশ্ন চলে না
আলগা মাটি আমাদের, ভার লঘু করার বিধি তাই নখ দর্পণে
দেখনদারি ওজন বাড়াতে হলে গীতবিতানে হাঁটাহাঁটি করি, দু-একটি ফুল ছিঁড়ে এনে ভাষণ সাজাই
নেহাত ভালোবাসি দু’কলি গুনগুন তাই এখনও তুমি আমাদের
তোমার বিশ্বজনীন ভাব থেকে বিশ্বটুকু তুলে এনে জ্বালিয়ে রাখি এই বঙ্গের পুরোভাগে
অর্জন ও অধিকার বিষয়ক বিতর্ক এখানে খাটে না
মোদ্দা কথা আমরা বাঙালি আর তুমি আমাদের রবীন্দ্রনাথ
এর বেশি তোমাকে বুঝে বোঝা বাড়ানোর
দরকারই বা কী !