তোমার লেখা ‘প্রশ্ন’ কবিতাখানি, কিছুতেই
মুখস্ত হতো না আমার ! তার জন্য ছেলেবেলায়
বাবার কাছে, কতো বকুনি খেতে হয়েছে, তা জানো ?
বড়ো হয়ে জেনেছি, তোমার শেষ যাত্রায়, কূপমণ্ডুক বাঙালি
তোমার সাদা দাড়ি টান মেরে ছিঁড়েছিল ! ওরা কি বোকা ?
ওরা জানে না, আমৃত্যু টান মারলেও ওই সাদা দাড়ি
আর আলখাল্লা টেনে, ছিঁড়ে নামানো যাবে না ।
তুমি মূর্তি পূজার বিরোধী ছিলে আমৃত্যুুু, অথচ সেই তোমারই
মূর্তি আজ ঘরে ঘরে ! ট্র্যাফিক সিগনাল অথবা, ঠাসাঠাসি ভিড় ট্রেন, তোমার গানে আজও অবগাহন-রত ভক্তকুল ! কিন্তু বায়ুসমুদ্রে ডুবে
থেকেও যেভাবে আমরা অম্লজানের মূল্য বুঝি না, হয়তো তোমাকেও
আমরা এভাবে কোনোদিন সত্যিই বুঝে উঠতে পারব না ।