রাত্রি তখন ১২টা বেজে ১0 মিনিট হঠাৎ বিজয়ের ফোনটা বেজে ওঠে ঘুমন্ত চোখে বিজয় ফোনটা কেটে দেয় কিন্তু ৫ মিনিট পর পর বিজয়ের ফোন বাজতে থাকে বন্ধুরা বিরক্ত হয়ে বিজয়কে বাইরে গিয়ে ফোন ধরতে বলে । বিজয় একটা বয়েজ হোস্টেলে থাকে ওর রুমে আরো ৪ বন্ধু থাকে । বার বার ফোন আসায় বিজয় চোখ ঘষতে ঘষতে বাইরে যাই গিয়ে ফোন টা ধরে । বিজয়: হ্যালো , ফোনের ও দিক থেকে একটা মেয়ের কণ্ঠ ভেসে আসে: বিজয় কেমন আছো ? বিজয় : ভালো , কিন্তু তুমি কে ? এত রাতে কল করেছো কেন ? “আমাকে ভুলে গেলে , আমি সেই মেয়ে যাকে তুমি ভালোবাসতে।”
কি রাতে ইয়ার্কি করার জায়গা পাওনি । রেগে গিয়ে বিজয় ফোনটা কেটে দেয় । সকাল তখন ৭টা বাজে বিজয়ের সব বন্ধু রা বিজয়কে ডাকা ডাকি শুরু করে । কিরে আজ কলেজ যাবি না নাকি ? বিজয় মর্নিং কলেজে পড়ে, সকাল ৮টার সময় ওদের ক্লাস শুরু হয়। বিজয়ের বন্ধু রাহুল বলে উঠলো “রাতে প্রেম করেছে তো ক্লাস করবে কি করে।” বিজয়: এই চুপ কর তো, কাজ নেই তোর?” বিজয় তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে। তৈরি হয়ে যায়, ততক্ষণ বন্ধুরা বের হয়ে পড়েছে।
কলেজে যেতে যেতে বিজয় কাল রাতে ফোনের কথা ভাবতে ভাবতে ফোনটা পকেট থেকে বের করে কালকে কল করেছে তা দেখতে লাগল , ওমা! কাল রাত্রের কোন ফোন নম্বরই তো নেই ফোনে। কেউ কি নম্বরটা ডিলিট করল ? কিন্ত ওর ফোনে তো কেউ হাত দেয় না ।কলেজে পৌঁছে বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করল ।কেউ হাত দেয়নি তার ফোনে। কিন্তু নম্বরটা কি উড়ে গেল? বিজয় ভাবনাটা কমিয়ে ক্লাসে চলে গেল। সারা দিন আর কোন ফোন আসেনি । রাত্রি তখন ১১টা ৫০ বিজয় আর বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলো, বিজয়ের ফোনটা আবার বেজে উঠল , বন্ধুরা সবাই হাসাহাসি শুরু করলো, দেখ দেখ প্রেমিকা ফোন করছে বিজয় ফোনটা নিয়ে বাইরে চলে গেলো। ফোনটা দেখে তার মুখে কোন কথা আসছিলো না, একটা অদ্ভুত ভয় আর অনিশ্চিয়তায় তার গলা শুকিয়ে আসছিলো আস্তে আস্তে। ফোন নম্বর নেই অথচ ফোনটা বেজেই চলেছিল।