হয় তো আর দাঁড়াবে না তুমি
একা ঐ গলির কোণে ;
হয় তো শুধু দেখব তোমায়
কাগজের বিজ্ঞাপনে।
২| শিক্ষা পেলাম
বাবা আমায় শিক্ষা দিলেন
সদা সত্য কথা বলতে।
মা যে আমায় শিক্ষা দিলেন
সর্বদা সৎ পথে চলতে।
ঠাম্মা আমায় শিক্ষা দিলেন
সদা মিলে-মিশে থাকতে।
দাদু আমায় শিক্ষা দিলেন
স্ব-বংশের মান রাখতে।
দাদার কাছে শিক্ষা পেলাম
সর্বদা পরিচ্ছন্ন থাকতে।
দিদির কাছে শিক্ষা পেলাম
নিজ দেহের যত্ন রাখতে।
দেশ-দশের সেবা করতে
গুরু দিলেন শিক্ষা।
মানুষের মতো মানুষ হতে
নিলাম আমি দীক্ষা।
৩| এলো বৈশাখ
এলো বৈশাখ
বাজে ঢাক,বাজে শাঁখ।
বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে
মহানন্দ আর হর্ষ না ধরে।
পল্লী বালা বধূতে আজ
নব রূপে,নব সাজ ।
লাল পাড় শাড়ীতে নারী
সাজ করে রকমারি।
বাংলা প্রতি আঙিনা মাঝে
নানা রঙের আলপনা সাজে।
কোলাকুলি, প্রণাম যথা রীতি
রবিন্দ্রসঙ্গীত,নজরুলগীতি।
রকমারি খাবার,মিষ্টি, দই
লুচি ,পেয়েস,সন্দেশ,খই।
বাউল গান আর ধামাই গান
মহানন্দে মাতে বাঙ্গালি প্রাণ।
৪| চাঁদ ভালো নেই
জানি চাঁদ ভালো নেই
আছ তুমি কষ্টে !
জানি না নিয়তির রায়
কি আছে অদৃষ্টে !!
হয় তো মিলব দু’জন
করোনার শেষে !
নয়তো বা হবে দেখা
উপরের দেশে !!
জানি চাঁদ তুমি আমায়
খুব করছ মিস !
পারছি না যেতে যে কাছে
কি নিষ্ঠুর গর্দিশ !!
৫| জ্যান্ত ভূত
বাঁশ বাগানের ঝোপের মাঝে
জ্যান্ত ভূতের বাস ;
ওরা রাক্তিরেতে বেজায় ক্ষ্যাপে
ভোগায় বারো মাস।
আঁঁধার রাতে খুব ক্ষ্যাপে যে
করে ক্যাচ-ক্যাচ-ঘ্যাচ ;
কচি কাঁচায় বড্ড জ্বালায়
রচে কত না যে প্যাচ।
দাদুর সাথে খোকন সোনা
যাচ্ছিল সেই পথ ধরে ;
জ্যান্ত ভূতের তাড়ায় সে যে
কাঁপছিল সে থর থরে।
দাদু বলেন ভূত কিছু নয়
সব যে মনের ভ্রম ,
খোকা বলে কি যে বলছ দাদু
যাচ্ছে বুঝি মোর দম।
দাদু বলেন কোথায় রে ভূত
তোরা দেখা দিয়ে যা ;
লাইট জ্বালাতেই উড়ে গেল
পেঁচা-বাদুড়ের ছা।