|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় কথাকলি
by
·
Published
· Updated
ঘুড়ি
শ’য়ে শ’য়ে ঘুড়ি উড়ছে আকাশে। রঙে রঙে আকাশ ছেয়ে গেছে। আজ বিশ্বকর্মা পুজো। বিনু আকাশের দিকে চেয়ে আছে আনমনে। চারিদিকে কেমন পুজো পুজো ভাব, মাইক বেজে চলেছে সকাল থেকে। বিনু জানলার আরও কাছে এগিয়ে আসে। ওই যে সবাই ভোঁ কাট্টা বলে দৌড়াচ্ছে। বেত্তীদের বাড়ির ছাদে উড়ে গিয়ে পরলো কাটা ঘুড়িটা। ওটা চাঁদিয়াল নাকি পেটকাটি? উত্তেজনায় উঠে দাঁড়াতে চাইলো বিনু। ছেলেটা কেমন অবলীলায় কার্ণিশ বেয়ে নেমে আসছে। ভাবতে গিয়ে বিনুর গা শিউরে ওঠে। আগের বছর এমন দিনে এভাবেই তো….আর ভাবতে পারে না বিনু। মা এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে– “আর কতক্ষণ এভাবে বসে থাকবি?” বিনু দূরের নীল আকাশের থেকে চোখ সরিয়ে নেয়। মা হুইলচেয়ার থেকে উঠিয়ে ওকে বিছানায় শুইয়ে দেয়। সিলিং ফ্যানের ঘুরন্ত ব্লেডে এখন বিনুর চোখ। মাথার কাছে বসে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মায়ের চোখের দু ফোঁটা গরম নোনতা জল বিনুর কপালে এসে পরে। অনেকদূর থেকে গান ভেসে আসে…
“পেট-কাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা।
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক মাটিতে অবজ্ঞা।”