কি গো সুমন আজ এতো ক্লান্ত দেখাচ্ছে ? কম্পিউটার থেকে চোখ তুলে একটা লম্বা হাই তুলে বলে ওঠে আর বলো না বিপিনদা গতকাল চারটে সাহিত্য সভা ছিল । সেই কাক ভোরে বেড়িয়ে রাত দশটায় বাড়ির চৌকাঠে । দারুন খবর !! তা সাহিত্যর জার্নিটা শুনি । বর্ধমানের লায়েন্স ক্লাবে নিজের কবিতা পাঠের পর স্মারক নিয়ে সোজ শিয়ালদার কৃষ্ণপদ মেমোলিয়ালে । আমন্ত্রিত তালিকায় নাম থাকায় দুই চার কথায় নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা তারপর একটা দীর্ঘকবিতা পাঠ । বাঃ –তবে শুনেছি আজকাল অনুকবিতার চাহিদা , বিপিনদা , তুমি তো দেখছি সময়ের সাহিত্যের ওয়াকিবহাল । একটা সময় তো সাহিত্যের অঙ্গনে যাতায়াত ছিল । এরপর বিকেল পাঁচটায় জোঁড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি । প্রধান অথিতির আমন্ত্রন , অগত্যা … শুনেছি প্রধান অতিথি বা বিশিষ্ট কবির আসন বা বিশেষ সম্বধনা পাওয়ার জন্য কবি সাহিত্যিকরা … । লেনদেনে আমি নেই । এরপর শ্রীরামপুরে টাউনহলে , ক্লান্তি ভেজা শরীরে আনন্দের অভ্র মেখে খানিক কিচিরমিচির , ফোটো সেশান ,তারপর প্রাপ্তি সম্মান স্মারক মিষ্টির প্যাকেট ফুলের তোড়া ম্যাগাজিন নিয়ে বাড়ির পথে । মধ্যরাতে ফেসবুকে ছবি পোষ্ট। এই হয়েছে এক ফেসবুক, বিনা পয়সায় আত্মপ্রোচার । ও ওর পিঠ চাপড়ানো । যাই বলো বিপিনদা ,প্রযুক্তির দৌলতে খানিক আত্মসুখ !! ঘোড়দৌড় জীবনে শব্দ নিয়ে চাষাবাদ । শব্দের ঝর্ণায় নিজেকে ভেজাবার নেশা ।