বোশেখের ঝড় বৃষ্টিতে আম কুড়োতে
ভীষণ ভালো লাগে অারশির। এত বড় হয়ে গেল, কত ইচ্ছে বদলে গেল কিন্তু এই আম কুড়ানোর মজাটা একটুও কমেনি। বাড়িতে সবাই কত্তো বকেছে। এত বড় ধিঙ্গি মেয়ে আম কুড়োতে যাস, লজ্জা করে না? এসব তো মানুষ ছোটবেলা করে। আজ বাদে কাল শ্বশুরবাড়ি যাবে যে মেয়ে, তার কি সাজে ঝড় এলে আম কুড়োতে যাওয়ার জন্য এমন উতলা হয়ে ওঠা? লোকে কী বলবে!
….গত অঘ্রানে ভিন গাঁয়ে সজলের সাথে বিয়ে হয়ে এসেছে আরশি।
এক বিকেলে আকাশের ঈশান কোণ কালো করে কালবোশেখীর দাপট শুরু হলে বাড়ির বউ আম কুড়াোলে লোকে খারাপ বলবে ভেবে মন খারাপ করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের আনন্দ কোলাহল দেখে আরশি। ম্লান মুখ দেখে শ্বাশুড়ী মা বলেন, ইচ্ছে করছে?
যা তবে–
আরশির মুখ হাসিতে ভরে ওঠে।
বড় বড় জলের ফোঁটায় গা মাথা ভিজছে। সর সর ঠান্ডা বাতাসে গায়ে শীতকাটা উঠছে, তারই মধ্যে ঝরাপাতা আর ডাল সরিয়ে বাচ্চাদের সাথে আম খুঁজতে খুঁজতে আরশি ডুবে যাচ্ছে শৈশবে!