|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় কেয়া চ্যাটার্জি
by
·
Published
· Updated
মহার্ঘ্য
সন্তর্পনে এগিয়ে চলেছে বিকাশ। নিঃশব্দে। তার নিঃশ্বাসের শব্দও যেন কারুর কানে না পৌঁছয়। ওদের উল্লাসের শব্দ আসছে কানে। হয়তো মেতেছে কোন নতুন জয়ের হুল্লোড়ে। বিকাশ আরো এগিয়ে গেলো। প্ল্যান মাফিক আর একশ পা এগোলেই জিনিসটি পাওয়া যাবে। জানি না ওদের চোখ বাঁচিয়ে নিয়ে যেতে পারবে কিনা। তবু শেষ চেষ্টা। বাঁক নিতেই বিকাশের হৃৎপিণ্ড লাফিয়ে উঠল। ওইতো! বিকাশ এগিয়ে এলো, কাছে, আরো কাছে। এত সহজলভ্য হবে ভাবতে পারেনি সে। হাতটা এগিয়ে দিতেই একটা ঝটকা লাগল। চারিদিকে সাইরেন বেজে উঠল। ওদের উল্লাস কোলাহলে পরিণত হলো। বিকাশ দেখল ওরা ছুটে আসছে ওর দিকেই। ওরা প্লুটো গ্রহের মানুষ। একের পর এক গ্রহ জয় করে ওরা আজ বিশ্বজয়ী। নাহ্ আর শেষ রক্ষা হল না। পৃথিবীতে সে হয়তো বস্তুটি আর পাঠাতে পারবে না। বিকাশ দেখল বস্তুটির সুরক্ষাবলয় ভেঙে গেছে। মহাকাশচারির হেলমেটটা খুলল বিকাশ। দম নিতে অসুবিধা হচ্ছে। তাতে কি! এ বস্তু ছাড়া যায় না। শেষবারের মতো, বিকাশ, আঁজলা ভরে পান করল বিশ্বের শেষ সংরক্ষিত জল।