|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় অন্তরা দাঁ
by
·
Published
· Updated
একলা বোশেখ
আর ক’টা মালা বেচতে পারলেই আজকের মতো গুটিয়ে দেবে দীনু। খুচরো কিছু ফুল বেলপাতা, আমশাখা পড়ে আছে নীল প্লাস্টিকের ওপর। শেষা চোত , কাঁধের গামছায় মুকখানা মুছে নেয় একবার সে। কাল হালখাতা, চালগদিতে পুজো-আচ্চা হবে, সেখানে নেমন্তন্ন আচে, বউটা ওখানে ঠিকে কাজ করে, ফি-বছর ছেলেপুলেদের নিয়ে ভালোমন্দ পেটপুরে খেতে পায় দুটো, বচ্ছরকার দিন, ভালোই কাটে। কতরকমের মানুষ, ফুল মালা কিনতে আসে । পুজোর ফুল বলতে ওই আকন্দ’র মালা, গাঁদা এসব, আর খোঁপায় জড়ানোর জন্য বেল, জুঁ ই, রজনীগন্ধার মালা দেদার বিক্রি হয়। খারাপ মেয়েছেলেদের পাড়ায় বিজনেস, সন্ধের গোঁড়াতেই সব হামলে পরে। একটা মেয়ে আজ খুব ভ্যানতারা মারছিলো, মাগনায় মালা হয়? দুটোর দাম দিয়েছিলো, আরও একটার জন্য খুব সাধাসাধি, ভাগিয়ে দিয়েচে দীনু খিস্তি মেরে।
পরদিন গদিতে ঠাকুরের গলায় অবিকল সেই একখানা মালা, দীনু অবাক ! বউ ফিসফিস করে বলে,
—সাধি, আমাদের সাধনা, এখানে কাজ করে, সন্ধেয় ঘরে লোক বসায়,ভাগে। মেয়েটা ভালো গো, মালা পইরেছে।
লক্ষীর মুখখানা অবিকল সাধনার মত।