• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় তনিমা হাজরা

স্তব্ধসময়

তিরিশ বছর আগে আজকের দিনে কলেজ কেটে দেখা করতে এসেছিল দুজনে।। প্রমিতা ভেবেছিল হয়তো অরীণ প্রোপোজ করবে তাকে।
কিন্তু সিগারেটে রিং ছড়াতে ছড়াতে নতুন ভারতবর্ষ তৈরির একটা স্বপ্নের গল্প বলেছিল অরীণ। তারপর দুম করে এই গঙ্গার ঘাটেই নৌকা থেকে নেমে “আসছি বোসো” বলে চলে গিয়েছিল অরীণ। দুদিন বাদে খবরের কাগজে বড় বড় করে বেরোলো “একটি রাজনৈতিক হত্যা”।।
ছাত্র ছাত্রীদের একটা মিছিল চলছে রাস্তা দিয়ে।। ওদের উজ্জ্বল মুখগুলো কি ঝকমক করছে।। এখনো কি ওদের দলে অরীণরা আছে?? কে জানে।।
হারিয়ে যায়, ফুরিয়ে যায়, তবুও স্বপ্ন দেখার ইচ্ছেটা যে কিছুতেই মরে যায় না। অরীণ আর প্রমিতার সংসার হলে এই বয়সী সন্তান তো হতো তাদেরও।।
তারাও এদের মতো আলোর স্বপ্ন দেখতো নিশ্চয়ই।। নাকি অরীণের অকালে ঝরে যাওয়া প্রমিতার মনে বিপ্লবের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ আর ভীতি তৈরি করেছে?
তাহলে, প্রতিবছর এইদিনে এখানে কেন আসে প্রমিতা? জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি সেই স্তব্ধ সময়টার ক্ষয়ে যাওয়া পঙ্গু স্বপ্নটাকে একবার ছুঁয়ে দেখবার জন্য কী???
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।