রাত বাড়তেই ঝড় যেন আরো বেড়ে গেল। এদিকে বাসন্তীর প্রসব বেদনা উঠেছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মুশকিল। জাহাঙ্গীর এসে খবর দিয়ে গেল, রহমান চাচার হঠাৎ বুকে ব্যথা হচ্ছে। গোপাল এই সব দেখে একটা প্লাস্টিক দিয়ে সারা শরীর ঢেকে বেরিয়ে পড়লো ডাক্তারের খোঁজে, বাইরে তখন প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গলি রাস্তা ধরে একটু এগোতেই তুমুল ঝড় শুরু হয়ে গেল, চারিদিকে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ছে। কোনোক্রমে ডাক্তার রঞ্জিত হাজরার বাড়িতে পৌঁছে অনেকবার দরজার কড়া নাড়ার পরেও কেউ দরজা খুললো না। ওখানে দাঁড়িয়েই অনেকটা সময় কেটে গেল। ঝড় থামলো সেই ভোরের দিকে, বাড়িতে পৌঁছে দেখে উঠোনে একটা আম গাছ ভেঙে পড়েছে। জেঠাইমা বললে, “গোপাল..তুই ছেলের বাপ হয়েছিস…”
ব্যাপারটা বুঝে ওঠার আগেই জেঠাইমা আবার বলে, তোর রহমান চাচার ইন্তেকাল হয়েছে”।
সেই বৃষ্টি ভেজা বৈশাখের প্রথম ভোরে গোপাল হাসবে, না কাঁদবে, কিছুই বুঝতে পারে না। শুধু এটাই বোঝে…চাচা জায়গা খালি করে দিয়ে গেছে নতুন অতিথির জন্য…এটাই তো সৃষ্টির নিয়ম…..