• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় অদিতি ঘোষদস্তিদার

নাগরদোলা

স্কুল ছুটি হতেই হই হই করে ওরা সাতজনে পাশের রথের মেলাটায় ঢুকল। বেশ ফাঁকা এখনও। বিরাট একটা নাগরদোলা এসেছে এবার। আগেকার কাঠেরগুলোর চেয়ে ঢের উঁচু।
জোড়ায় জোড়ায় বসার জায়গা নাগরদোলায়।
এই রে! একজন তো একলা হবে!
“ও দাদা, তিনজনে বসতে পারি?”
উত্তর নেতিবাচক।
“আমি একাই বসে যাচ্ছি!” দৃঢচেতা রীতা।
“ভয় পাবি না তো?” সন্দিগ্ধ বন্ধুরা।
“ধুস! আমি কি ভীতু?”
নাগরদোলাটা চলতে শুরু করতেই প্রায় লাফিয়ে রীতার উল্টোদিকের সিটে একটা ছেলে বসে পড়ল। উফফ সেই অয়ন! জ্বালিয়ে খাচ্ছে কবে থেকে। আজ একেবারে সামনাসামনি।
“আর কত অপেক্ষা করব বলতে পার?”
উত্তর না দিয়ে মুখ ঘোরাল রীতা।
নাগরদোলা উঠছে ওপরে।
একী! এতো দুলছে কেন! এমন তো হয় না! থরথর করে কাঁপছে রীতা! আজই কি শেষদিন!
“ভয় কী? আমি তো আছি!”
আশ্বাস সঙ্গীটির।
রীতার আজ ফার্স্ট কেমো। দেরিতেই ধরা পড়েছে রোগটা।
রোগিনীর মুখ শুকনো। বহুদিনের সঙ্গীটির বুকে তোলপাড়।
ঠান্ডা হাতদুটোকে নিজের বড় মুঠিতে ধরে অয়ন ঠোঁট ছোয়ালেন স্ত্রীর কপালে।
“ভয় কী? আমি তো আছি!”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।