|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় শঙ্কর ঘোষ(অমর)
by
·
Published
· Updated
টেলিগ্রাম
মায়ের চোখে জল দেখে মিনু নিজেকে অপরাধী মনে করল। মায়ের চোখের জল মুছে বলল – মা আমি ভুলতেই পারিনা – আজ আমার জন্মদিনে বাবা ছুটি নিয়ে ঠিক বাড়িতে আসবেই। কিন্তু বাবা যে আর কোনোদিন আমার জন্মদিনে এসে আদর করে উপহার দেবেনা। তার তো একেবারে ছুটি হয়েগেছে – আর সেনা অফিসারের কাছে আবেদন জানাতে হবেনা – আমার মিনুর জন্মদিন বাড়িতে যাব বলে। মা আমি তোমায় কথা দিচ্ছি আর কোনোদিন আমার জন্মদিন পালনের কথা বলব না। মা কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলল – অমন কথা বলিস না। আমি তো তোকে নিয়েই বাঁচব। মিনু বলল আমিও তোমার মধ্যেই মা বাবা দুজনাকেই পাই।
তারা বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে বসে থাকল। হঠাৎ দরজায় খটখট করে আওয়াজ হল। দরজা খুলে দিতে একজন পিওন এসে একটা টেলিগ্রাম দিয়ে গেল। মা সেটা খুলে পড়ে বলল – মিনু তোর বাবা বেঁচে আছে! সামনের সপ্তাহে বাড়ি আসবে বলে টেলিগ্রাম করেছে। মা বলল তোর বাবাকে শত্রু সেনারা আটকে রেখেছিল- কালকে ছেড়ে দিয়েছে। এই বলে মা মেয়ে দুজনাই টেলিগ্রামটাকে চুমু খেল।