ফোন ধরতেই ওপাশে উত্তেজিত রঞ্জন , “তুই নাকি মরে গেছিস ?”
ওর স্বভাব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল বলেই একটুও না ঘাবড়ে হেসে বললাম ,”হ্যাঁ রে , তোর সঙ্গে তো আমার ভূত কথা বলছে ।“
শব্দ করে স্বস্তির শ্বাস ফেলল রঞ্জন ,”যাক বাবা ! খবরটা শুনে খুব আপসেট হয়ে পড়েছিলাম ।“
“মানে ?” আমি অবাক । ও তাহলে ইয়ার্কি মারছে না !”
“আরে এই মাত্র কার কাছ থেকে শুনে প্রদীপ ফোন করে জানালো খবরটা । শোন , আমি তোকে পরে ফোন করব । আগে প্রদীপকে নিশ্চিন্ত করি ।“
ইতিমধ্যে আরও তিন বন্ধু আমাকে ফোন করে কুশল জানতে চাইছিল । আমি গল্প চালিয়ে যেতে চাইলেও ওরা উৎসাহ দেখায়নি । এটাই তাহলে রহস্য ! কিন্তু বেমক্কা এমন একটা খবর রটল কি করে ? আজ তো পয়লা এপ্রিল নয় !
আচমকা মাথায় বিদ্যুচ্চমক , আমি কি তবে সত্যিই মরে গেছি ! শুনেছি মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারে না যে সে আর ইহজগতের কেউ নয় । তাহলে ? দরদরিয়ে ঘামছি । শরীর অবশ । কিন্তু এটাও শুনেছি , সে নাকি দেখতে পায় প্রিয়জনেরা তার মৃতদেহ ঘিরে হাহাকার করছে । সেটা তো দেখছি না ! আমার নিশ্চল বোধবুদ্ধি বাঁচা-মরার মাঝখানে ঝুলতে লাগল ।