• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় মিনু চক্রবর্ত্তী

ভরসা

মনিলাল বাবু শোক গিলে আবার বেরোলেন কাজের সন্ধানে। আগরওয়ালদের কাপড়ের দোকানে ক্যাশিয়ারের কাজটা যদি…
এই কাপড়ের দোকানে কাজ করেই একমাত্র ছেলেকে মানুষ করেছিলেন। –“বাবা,আজ থেকে সংসারের দায়িত্ব আমার।” চাকরী পেয়ে বলেছিল ছেলেটা।
বৌমা আর একমাত্র ছয় বছরের মেয়ে মিমিকে বাপের তত্বাবধানে রেখে চলে গিয়েছিল লাদাখ সীমান্তে। সংসারের একটু সচ্ছলতা আর মিমিকে ভালো একটা স্কুলে ভর্তি করানো, এইটুকুই তো চেয়েছিল ছেলেটা।
এক বছরের মধ্যে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিল।
প্রতিশ্রুতি মতো ফিরে এসেছিল ছেলেটা। তবে তেমনভাবে নয়। ফিরে এসেছিল তার জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন বন্দী দেহ।

কাজে বেরোনোর আগে
ছোট্ট মেয়েটার আদর উপেক্ষা করতে পারে না দাদু।
–“তুমি কাজে যাবে না দাদুভাই। আমার সাথে খেলবে।”
–“আমায় এবার যেতে দাও দিদিভাই। ”
পাশে দাঁড়ানো সদ্য বিধবা বৌমা অশ্রুসিক্ত চোখে মিমিকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।
চোখে জল মনিলাল বাবুরও।
ছোট্টো মিমি তার ছোট্টো হাত দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দেয়। গালে গভীর চুম্বন দিয়ে বলে –“কেঁদোনা দাদুভাই আমি আছি তো। “

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।