• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় রাখী সরদার

মেহেন্দী

সাঁজুকে হাতে মেহেন্দী লাগাতে দেখে
পারভিন চেঁচিয়ে ওঠে-
” হাতে র‍্যাশ বের হয় তাও
লাগাচ্ছিস?”
“মা কিছু হবেনা , ছোট বেলায়
আব্বু মানা করেছিল…”
কথাটা সম্পূর্ণ করতে পারেনা ।
তার আব্বু আবার বিয়ে করেছে। সাঁজু হাত মুছতে যাচ্ছে দেখে
পারভিন বলে ওঠে

“দে, আমি নকশাটা করে দিই।”
স়াঁজু অবাক চোখে দেখে তার হাতের
মেহেন্দীর আলো তার মায়ের চোখে মুখে। রাতে পারভিন শুয়ে শুয়ে
ভাবে একজন তার হাতের মেহেন্দী অন‍্যের হাতে যখন লাগিয়ে দিয়েছিল
অন‍্যজন নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছিল –
“পরি, মেহেন্দী হল ভালোবাসার বন্ধন। তোমার হাতে আমার নাম মেহেন্দী র রঙে ডুবিয়ে সেই
ছবি হোয়াটস আপে পাঠিও।”
হঠাৎ হোয়াটস আপে একটা পিং…
“পরি কেমন আছো?”
রহিম !এতদিন পর!হোয়াটস আপে
রহিম কে পাঠানো তার দু’হাত ভরা মেহেন্দীর ছবি!
“,একটা এক্সিডেন্টে চারবছর দিল্লির একটা হসপিটালে কোমায় আচ্ছন্ন ছিলাম। একসপ্তাহ হলো জ্ঞান ফিরেছে। এক কলিগ
মোবাইলে রিচার্জ করে দেওয়ার পর তোমাকে মেসেজ করছি।”
দু’চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে পারভিনের। চোখ মুছতে গিয়ে দেখে সাঁজুর হাতে লাগানো মেহেন্দী ভালোবেসে কখন যে তার হাতকেও রাঙিয়ে দিয়েছে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।