• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় সৌরভ দেবদাস

আর্তনাদ

রাস্তা দিয়ে যাবার পথে স্কুলের সামনে এলে প্রায় কান্নার আওয়াজ পাওয়া যেতো লোকে ভূত ভেবে সেদিকে যেতো না। তার মধ্যে লকডাউন হয়ে গেলে সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে যায় মানুষের আসা যাওয়া। এইদিকে স্কুলের ভিতরে তাদের খুব মন খারাপ, তারা বলতে এখানে ক্লাস রুমের ফ্যান, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, স্কুলের ঘন্টা তাছাড়া স্কুলের গেট এদের খুব মন খারাপ। এরা এদের ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য খুব মন খারাপ কারণ অনেক দিন ধরে তাদের দেখা পায়নি।
বেঞ্চ… হা গো ফ্যান দাদা, স্কুল কবে খুলবে বল তো দেখি?
ফ্যান.. একটু নিজের গায়ের ধুলো ঝেড়ে দিয়ে বলল জানিনে বাবু। এমনি তে তিন মাস কোনো কাজ করিনি আশা করে ছিলাম গরম এলে এইবার একটু কাজ করব সেটাও বন্ধ। এইভাবে থাকলে আর কি ভাবে চলবে?
বেঞ্চ.. ঠিক বলছো ফ্যান দাদা। কত দিন হল বাচ্চারা আসেনি মন টা কেমন লাগছে। তার মধ্যে পুজো চলে আসলো
ওই ছাত্র ছাত্রী দের মন খারাপ।
( পুজোর পর শীতে)
ফ্যান.. তুই ভাই জানিস একটা কথা?
বেঞ্চ… কি কথা বলো?
ফ্যান… ঘন্টা তো অনেকদিন হলো বাক্সে বন্দি সে মাঝে মধ্যে চিৎকার করে উঠে লোকে রাত্রি বেলায় সেই চিৎকার শুনে খুব ভয় পায়।
বেঞ্চ… কি করা যাবে ভ্যান দাদা বলো ভাইরাস এর কারণে তো স্কুল খুলছে না। কি আর করা যাবে বলো?
ফ্যান… দেখ ভাই এসব রাজনীতি তুই বুঝবি না। ছেলেপুলেদের বই এখন উড়ি পোকা তে খাচ্ছে আর লেখা পড়া হচ্ছে অনলাইনে ।
বেঞ্চ… তুমি কি করে জানলে?
ফ্যান.. বিদ্যুৎ বলল আমাকে, এখন সবাই নাকি অনলাইনে লেখা পড়া হচ্ছে।
বেঞ্চ…. তাহলে কি আর স্কুল খুলবে না। ভাইরাস এর জন্যে এসব হচ্ছে।
ফ্যান.. দেখ ভাই তুই যেটা জানিস না সেটা বলিস না। নেতারা জনসভা করছে তখন ভাইরাস ধরে না আর স্কুল খুললে ভাইরাস ধরবে।
বেঞ্চ…. হায়রে আমার শিক্ষা ব্যবস্থা!
একদিন মেনগেট থেক তালা খোলার আওয়াজ এলো গেট বাবু অনেক আনন্দে চিৎকার করে দুই দিকে ছড়িয়ে গেলো। তখন বেঞ্চ আর ফ্যান খুব আনন্দে লাফিয়ে উঠলো। গেট দিয়ে তখন পিল পিল করে ছাত্র ও ছাত্রী দের
সমাগম হল আবার ক্লাস শুরু হল।
সময় মতো ঘন্টা তাও আনন্দে বেজে উঠল। বেঞ্চ আর ফ্যান খুব খুশি হল কারণ এখন আর তাদের কাজ বন্ধ করে বসে থাকতে হবে না।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।