সুতপা আজ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত। এই বাড়িতেই তাকে প্রতিদিন সকালে আসতে হয় আগের রাতের এঁটো বাসন মেজে, উঠোন ঝেঁটিয়ে, ঘর মুছে দিয়ে যাবার জন্য। আজ জয়াদির ছেলের তৃতীয় জন্মদিন। আয়োজন খুব বড় মাপের না। অল্প কিছু আত্মীয়স্বজন এসেছে সন্ধ্যায়। সব মিলে গোটা তিরিশ জন লোক। রাতে খাওয়াদাওয়া হবে। জয়াবৌদি খুব ভালো। একদিনও কোনো বিষয় নিয়ে সামান্যতম মাথা গরম করেনি। আজও খুব যত্ন করে ঘরে বসালো। নিজের হাতে সবার মধ্যে বসিয়ে খেতে দিলো। বৌদি নিজেই রান্না করেছে। খাবার পর কলতলায় হাত মুখ ধুতে গিয়ে দেখলো প্রচুর এঁটো বাসন। এবার মনে মনে হাসলো সে। আজ রাতের অতিথি হলেও সকালেই সে হয়ে যাবে এই বাড়ির কাজের মাসি। তখন এই এঁটো বাসনগুলো তাকেই মাজতে হবে। হাত ধুয়ে বিদায় নেবার সময় বৌদি তার হাতে একটা বড় টিফিনবাক্স ধরিয়ে বলল, “এটা বাড়ির জন্য নিয়ে যাও। আর কাল তোমাকে আসতে হবে না। সকালের কাজটুকু নিজেরাই করে নিতে পারবো। শুধু আমার ছেলেটাকে একটু প্রাণভরে আশীর্বাদ করো।”