|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় তপন তরফদার
by
·
Published
· Updated
আয়নায় করোনা
করোনাই আমার সঙ্গে আয়নার ঘনিষ্ঠ করিয়ে দিল। প্রতিদিন ওর বুকে টেরি কেটে দৌড়াতাম। এই করনা কালে হৃদয়ের আয়নার ক্যনভাসে ফুটে উঠে শঙ্কার জলছবি। স্রোতস্বিনীর শব্দ অতলের বাজনা বাজায়।। জানলার ফাঁকফোকর থেকেই হলুদ আলো তেরচা হয়ে প্রতিফলিত। আলোর উৎসে দেখি ফিরোজা আকাশের বুক চিরে ধূসর মেঘ। পাখি শিষ দিয়ে প্রশ্ন করে যায়, আকাশ তুমি কার? চাদেঁর, সূর্যের, না সেই সর্বনাশী কালো গহ্বরের। আকাশের নক্ষত্র বলে আমিই আকাশ আমিই তারা। আমার জীবন জুড়ে বিষন্নতা, এক শীতল প্রতিকূলতা। জোনাকির মত আলোর ফাঁদে পড়ে মানুষ এখানে তারা হয়ে থাকে।
এই করোনা কালে ভগবান আর শয়তানের ভেদ দেখিনা। করনা মুক্তবিশ্ব গড়তে জন্য, সবাইকে নতজানু হয়ে করতে হবে বিজ্ঞানের সাধনা।
আয়নার আদিপুরুষদের দেখার স্বপনের চোখ আছে। হালকা হাওয়ায় পর্দা সরিয়ে হলুদ আভা, কালিমা সরিয়ে প্রাণে হালকা আশার সঞ্চার। আবার বিশুদ্ধ মেঘরা ভাসবে আকাশে, বাতাসে বইবে শিউলির সুগন্ধি, বুকে কাশ ফুলের দোলা। আবার বিগ-ব্যাং ভেদ করে সপ্তরথি কাঁচা সোনার আভা সবুজ পাতায় মাখিয়ে ফিরিয়ে দেবে আদিম বসুন্ধরা।