যেমন সে করেছিল সুজয়ের সঙ্গে সম্পর্কটাকে জোড়া লাগাতে।
সম্পর্কে জড়াতে সে চায়নি।
কালো রং, ক্ষীণদৃষ্টি,ডাক্টারবাবুর সতর্কতা-“ট্রেস নিলে আপনার চোখ কিন্তু চিরকালের মতো দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে”-বাসবিকে নিজের বৃত্তের মধ্যে আটকে রেখেছিল।
সুজয় বলেছিল-“,যদি তেমন দিন কোনোদিন আসে, আমার চোখ দিয়েই তুমি পৃথিবীকে দেখবে।”
সেই সুজয়…!
সেদিন সুজয় যখন ফোন করেছিল বাসবি মায়ের সঙ্গে কথা বলছিল।
পরে সুজয় জিজ্ঞাসা করেছিল-” কার সঙ্গে এতক্ষণ কথা বলছিলে?”
বাসবি চমকে উঠেছিল।
বলেছিল -“স্কুল লাইফের এক বন্ধু,বরুণের সঙ্গে।বরুণ আমার ..”
ফোনটা কেটে গিয়েছিল।
কলব্যাক করেছিল বাসবি। বলেছিল-“তোমাকে মিথ্যা কথা বলেছি,আসলে মায়ের সঙ্গে…।”
সুজয় বিশ্বাস করেনি।
একদিন বলে দিল-” কোনটা সত্য, আর কোনটা মিথ্যা আমি বুঝতে পারি না,বুঝতে চাইও না।”
স্নেহার কথা কানে এল-“দেখ,কেমন জোড়া লাগিয়ে দিয়েছি।”
বাসবি দেখল ভাঙা ফুলদানির একপাশে সে, অন্য পাশে সুজয়।