• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ছোঁয়া

চায়ের কাপটা নীরবে শান্তর হাতে দেয় চন্দ্রা।তখনই হাতে হাত লেগে যায়।কিন্তু শিহরন বা আনন্দের কণামাত্র নেই।
— জানো না,আমি ঠাণ্ডা চা খাই না!
— ডাক্তারের নিষেধ।
— গোলি মারো ডাক্তার!
— তাহলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করো।
চিৎকার করতে গিয়েও ঠক করে কাপ নামিয়ে নীরবে বেরিয়ে যায় শান্ত।
চন্দ্রার মুখে রাগের ব্যঙ্গ।

এলোমেলো হাঁটতে হাঁটতে যমুনার পার্কে গিয়ে বসে শান্ত।কিছুসময় রাগ চর্চার পর আবার অনুরাগ জাগে।দেখতে কত সুন্দর আর কী মিষ্টি ব্যবহার ছিল ওর,দেখলে মনে অদ্ভুত শান্তি পেতো।এখানেই কত কথায়-স্বপ্নে সময় যেন উড়ে যেত।বিয়ের পাঁঁচবছরেই সব উধাও।
ঘন্টাদুয়েক পর ঘরমুখো শান্তর আক্ষেপ জাগে।দেখে জলসা লজের আলোকিত গেটে ঝলমল করছে ‘রুপা ও হিমুর দশম বিবাহবার্ষিকী’।
অপরাধবোধ জাগে।বাজার ঘুরে বাড়িতে ঢুকে বালুচরি শাড়ির প্যাকেট এগিয়ে দেয় শান্তার দিকে।ধারের কথা চাপা থাকে।অবাক চোখে খুশির আলো। আবার হাতে হাত লাগে।বলাই বাহুল্য শিহরন ফিরেছে।
সেই আগের মতো সুমিষ্ট সংকোচে বলে,তুমি যা করো না! কী দরকার ছিল!

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।