এই বাড়ির এক দেয়ালে তিনটি ঘর।এ ঘর থেকে কথা বললে ও ঘরের দেয়ালে কান পাতলে শোনা যায়।কিন্তু স্পষ্টতই মুখ দেখা দেখি নেই কারো সাথে কারো,কথাও নেই।সবাই এক জায়গায় রয়েছে,এক বারান্দা দিয়ে ধুলো উড়িয়ে চলেছে, আর একই উঠোনের লম্বা দড়িতে গায়ে গা লাগিয়ে জামা-কাপড়গুলো শুকিয়ে নিচ্ছে নিজেদের শরীর।
এদের মধ্যে বিমল একটা সেতু রচনা করেছে।বিমলের কোনৌ কাজ নেই, পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়া ছাড়া।বিমল পালা করে চায়ের দোকানের খবর, মুদির দোকানের খবর একবার বড় বৌদিকে আর একবার ছোট বৌদিকে বলে যায়।বিমলের কাছে কেউ আপন নয়, কেউ পরও নয়।
এই বাড়ির উঠোন লাগোয়া আম গাছটায় চই গাছটা যেমন একবার এ ডাল একবার সে ডাল করে নিজের শহর বাড়িয়ে নিচ্ছে বিমল ও সেরকম, এই বাড়ির সারা শরীর জুড়ে একটা চই গাছের মত..