অনেক দিন পর ভাড়া বাড়িতে ফিরে এলেন শশীকান্তবাবু ।কোভিড অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে তাকে। শরীরে এবং মনে। বাইরের পেলমেটের ওপরের অংশে কিছুটা খড়কুটো। শিকল খুলতে ধুলোর আস্তরণে দিবাকরের আলোর অনুপ্রবেশ। হরর মুভির পরিবেশ। জানালা খুলে দিতে মুখে থুবড়ে পড়লো হাওয়া।ফ্যানটা চালাতে কিছুটা শব্দ, কিছুটা ধূলো তাপ-উত্তাপ বিনিময়।
সদরে এতো কম ভাড়ায় সর্বগুণসম্পন্না
বাড়ি পাওয়া আজকাল দুস্তর। বাড়িওয়ালা ভজহরি কয়েক বার মিনমিন করে বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর কথা বলতে শশীকান্তবাবু আর মাত্র বছর খানেক থাকবেন তাই কনসিডার করতে বলেছেন। এই নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে বহু বছর ধরে। তবে রফা হয়না।
বাড়ি থেকে আনা জলখাবার নিয়ে বসতেই শুনতে পেলেন একটা ডাক ।অনেকটা ঘুঘুর মতো। শব্দটির উৎসসন্ধানে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলেন তিনি। ডাকটা দরজার বাইরে থেকে আসছে। বেরিয়ে তাকিয়ে দেখলেন যে পেলমেটের ওপরের ওপর থেকে একটা ঘুঘু তার দিকে তাকিয়ে যেন হাসছে ।কুড়ি বছর ধরে এই বাড়িতে বাস করা শশীকান্তবাবুও চোখ মটকে হেসে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়লেন।