|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় ডা: সত্যব্রত মজুমদার
by
·
Published
· Updated
হৈমন্তীর নববর্ষে
আজকে তোমায় মনমরা লাগছে মা,অন্যদিনের কাজ থেকে ফিরলে এই রকম লাগে না।
হ্যাঁ হৈমন্তী, আজ সন্ধ্যায় ট্রেন থেকে নেবে যখন স্টেশন রোড দিয়ে হেঁটে আসছিলাম, সুসজ্জিত দোকানগুলির সামনে এই মারণ করোনা আবহের মধ্যেও দেখলাম চৈত্র সেলের ভালোই ভিড় জমে গেছে,- —- কচিকাঁচাদের নিয়ে মায়েরা অগ্নি মূল্য, নিদারুণ বেঁচে থাকার লড়াইয়ের মাঝে একটু সস্তায় কাপড়-জামা, সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় —কত কিছু, —- জানো হৈমন্তী— আমার ছেলেবেলা কার দিনগুলি মনে পড়ে গেল— চার ভাইবোন, বাবা রিক্সা চালাতেন, নেশাখোর লোক, মা দশটা লোকের বাড়িতে দিনরাত খাটতেন, ছোট ছোট চার ভাই বোন, সারা বছরের টাকা জমিয়ে মা আমাদের নিয়ে যেতেন চৈত্র সেলের বাজারে, নতুন বৎসর, দুর্গাপুজোর জামাকাপড় কিনে দিতেন, কত দুঃখ কষ্ট ভুলেই পয়লা বৈশাখ আমরা ভোরবেলায় স্নান করে নতুন জামা-কাপড় পড়তাম, —- —– সারাদিন খাওয়া-দাওয়া, এখন হৈমন্তী, চৈত্র সেলের প্রয়োজন তোমাদের হয়তো ফুরিয়েছে, কিন্তু আমাদের ছেলেবেলাকার অনুভূতিতে—– আবেগে, স্মৃতিতে,—-বাংলা নববর্ষের আগমনে —– —- সময়ের সাথে -আমাদের অনুভূতিগুলো — তোমায় দিলাম।