হৈচৈ কবিতায় সুজিত কুমার দাস
by
·
Published
· Updated
নিষ্ঠুর দেবতা
নিষ্ঠুর দেবতা
কী দিয়াছো মানুষেরে তুমি?
কেনই বা ক্ষনিকের তরে
অফুরন্ত প্রেম ভালোবাসা
দিয়াছো অন্তরে ঢালি ‘?
কেনই বা তৃপ্ত বাসনা
অতৃপ্ত করি’ ছলে -বলে,
টানি’লয়ে যাও—-
স্বর্গ হতে মর্তের দ্বারে?
কেন সবে মৌন আবেগ বার্তা
নীরবে পাঠাইতে চায় —
বুক ফাটা ক্রন্দনে
কোমল চরণে তোমার ?
জনমে মোদের আছে ব্যবধান,
ধনী দরিদ্র কার আছে মান?
সকলেরই প্রাণ একই হাতে গড়া,
তবুও সৃষ্টি করোনি সমান।
একী পাপ?
না জনমের আগে অভিশাপ,
দিয়াছো মানুষেরে তুমি
গর্ভ হতে জন্মাবার আগে ।
তুমি রনাঙ্গ কৌশল সম,
কুটিল তীক্ষ্ণ বাণ হানিয়াছ
নিষ্পাপ মনুষ্য শাখামুল ভেদি ।
তুমি নিষ্ঠুর —-
কত শিল্পী, কত কবি, সাহিত্যিক,
বুকফাটা ক্রন্দনে রেখে গেছে
অতৃপ্ত আশা সিক্ত করি,
সুন্দর পৃথিবীতে —
আশ্রয় নিয়াছে চিরনিদ্রার ক্রোড়ে
বসন্ত সমীর বয়ে নিয়ে যায়
দুটি অশ্রুবিন্দু, ঝরে পড়ার অতীত বারতা
সবকার মনে ।
আজও তারা কাঁদে,
অতি গোপনে নিশিরাতে
ঝড়ে পড়ে মর্মান্তিক অশ্রুধারা
শ্যামল দুর্ববা প´রে, শিশির বিন্দু সম ।
যেন দূর হতে শোনা যায় —
কবরে শায়িত কবি সাহিত্যিক,
কিংবা শিল্পীর আক্ষেপ বাণী
আগত দিনের ভাবি কবি,
শিল্পী সাহিত্যিক, রেখে যায় যেন
অসমাপ্ত ভাবধারা —লেখনির টানে ।