জীবনের বহু বসন্ত পার করে,
এসে দাঁড়িয়েছি স্মৃতির স্রোতের মুখোমুখি,
মিষ্টি মধুর স্মৃতির ঢেউ গুলো-
আছড়ে পড়ছে সৈকতে,
ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে,
আবার মিশে যাচ্ছে সেই সমুদ্রের,
প্রতিটি বারিবিন্দুর সাথে,
যেখানে রয়েছে আমার ছেলেবেলা,
কিছু কথা, কিছু স্মৃতি, কিছু উপলব্ধি,
যা মাঝে মধ্যেই প্রদান করে,
এক উষ্ণতা, এক কোমল পরশ!
মন তখন খুবই অস্হির,
ছুটে বেড়ায় শুধু এপ্রান্ত, সেপ্রান্ত,
কোথায় যেন এক লুকোচুরির খেলা,
বোধকরি বিধাতাও লক্ষ্য করেন আড়াল থেকে!
তবু যেন নিরুপায় আমি,
ভুলতে অস্বীকার করে এই মন মস্তিস্ক,
বাড়ির উঠোনের ওই ছোট্ট দোলনাটা,
যেখানে গ্রীষ্মের বিকেলের নরম আলো মেখে,
রোজ দোল খেতাম,
খেতাম ঠাকুমার বকুনি,
তবু এক টান, এক জেদ,
শেষে মন ভরলে,
ফিরে আসতাম মায়ের কোলে,
শুনতে রাজারানীর গল্প!
আজও মনে পড়ে,
বাবার হাত ধরে যেতাম স্কুলে,
ব্যাগটা তখন বাবার কাঁধে,
বুঝিনি তখন তার মর্ম,
বুঝিনি তার তাৎপর্য,
যা বুঝি আজ, এই মুহূর্তে একা দাঁড়িয়ে!
সেই সন্ধ্যে, সেই বাবার হাত ধরে বাড়ি ফেরা,
সবই আজ অতীত!
নেই সেই দুষ্টুমি, নেই মারামারি,
নেই সেই আবদার, নেই সেই লাস্ট বেঞ্চে বসে,
টেবিল বাজানোর শব্দ!
নেই সেই ঠাকুমার বকুনি,
সেই আহ্লাদ, সেই আশ্বাস!
বাড়ছে বয়স,
বাড়ছে নৈরাশ্য,
বাড়ছে একা থাকার যন্ত্রনায়ও!
জানি কালের অমোঘ নিয়মে,
ফিরে আসবে না সেই সোনাঝরা দিনগুলো,
তবুও তো এক মন, এক হৃদয়,
দিবারাত্রি শুধু একই ভাবনা,
যদি ফিরে পেতাম শৈশব,
চাওয়ার থাকত না আর কোনকিছুই,
এক নিছক কল্পনা,
এক অলীক স্বপ্ন!!