তখন মনে হয়েছিল তোমার দেওয়া প্রতিশ্রুতিটা বড়ই মধুর। কিন্তু, ধীরে ধীরে বিশ্বাসের দরজায় ফাটল দেখা দিলে, ঐ প্রতিশ্রুতিটা মনে হতে লাগলো ঠুনকো, ভঙ্গুর। তাই দানা বেধে উঠল রাগের একটা ক্ষুদ্র অঙ্কুর। ঐ ক্ষুদ্র অঙ্কুরটা যখন হয়ে উঠল একটা তরুলতা, তখন মান-অভিমান,কান্না ও ঘেন্নার এলোমেলো শাখার হলো ঘনঘটা । তারপর ধীরে ধীরে এই শাখা গুলো থেকে অঙ্কুরিত হলো একগুচ্ছো অভিযোগ যুক্ত প্রশাখার বনলতা – “তুমি কেন এমনটা করলে”, “তোমার কোনো শর্ত থাকলে বলতে পারতে”, “তুমি কেন আগে বলোনি”, ইত্যাদি ইত্যাদি এইরকম নানান ধরনের ‘কেনোর’ যুক্তিকথা। এ সবই তো ছিল পরিস্থিতি ভিত্তিক আনুমানিক সিদ্ধান্তে আশ্রিত! ফলস্বরূপ, মানসিক ভারসাম্য হলো অনিয়ন্ত্রিত। মিথ্যের জালে ফেঁসে গিয়ে ছিল বিশ্বাসের দ্বার। তাইতো, ভুল বোঝাবুঝির মঞ্চে বেজে উঠেছিল ঝনঝনানি ঝঙ্কার। মনের আয়না দিয়ে যখন দেখলাম বাস্তব সত্যির তেজ, তখন আমার বিশ্বাসটা তোমার দুই নয়ন ভরা অশ্রুতে ধুয়ে মুছে হয়ে উঠল সতেজ। হয়ে গেল সব অভিযোগের প্রশাখা গুলো একেবারে নিস্তেজ।