মিলুর মেসবাড়িতে একমাস পরে বেড়াতে গেলাম মেনু আরো অনেকে সেখানে থাকে আসিস এখানে থাকতো পরে অন্য জায়গায় দোকান করেছে ঝুলু বলল জানিস কয়েকদিন ধরেই আমাদের এখানে একটা উপদ্রব শুরু হয়েছে কেউ একজন মশারী টাঙ্গানো পরে গভীর রাতে মশারী ছেড়ে দিচ্ছে আবার দড়ি বেঁধে সকলে পাহারা দিচ্ছি কিন্তু ঘুমিয়ে পড়লে আবার দড়ির খুলে দিচ্ছে তো মহা মুস্কিল হলেও গতকাল আমাদের রান্না করা খাবার উল্টে পড়েছিল তাহলে মেম্বাররা কেউ নিশ্চয়ই করবে না কারণ খাবার তো সবাই সবার খাবার খেতে পাবে না তাহলে কেউ নিজের খাবার ফেলে দেবে না আমি বললাম তাহলে আবার সেই আমাদের পুরুষতান্ত্রিক জেঠুকে ডাকা হোক তিনি নিশ্চয় কিছু একটা ব্যবস্থা করবেন তাকে খবর দেওয়া হল তিনি আসছেন ট্যাক্সি ভাড়া করে খরচ আমরাই দেব
কিন্তু তিনি যখন মেসবাড়িতে এলেন তখন বিকেল চারটে বেজে গেছে আমি বললাম যে তুই এত দেরি হল কেন যেতে বলছে না রে বাবা আর বোলো না ভৌতিক কোন কাজের সমাধান করতে গেলেই আমাকে সমস্যায় পড়তে হয় মাঝপথে টায়ার পাংচার হয়ে গেল তারপর আবার ড্রাইভার এর শরীর খারাপ তাই বলছে আমি তো ভালোই ছিলাম কিন্তু রাস্তায় এরকম হচ্ছে কেন তারপর ড্রাইভারকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো দেরি হয়ে গেল এই জন্যই আমি দেখলাম তান্ত্রিক মন্ত্র বলেছেন কথার ফাঁকে ফাঁকে সারারাত্রি নিমন্ত্রণ বাড়িতে ঢুকেই তিনি বললেন এই বাড়িতে ভৌতিক একটা ব্যাপার আছে
তিনি বললেন দেখো তো তোমাদের ঘরের অন্য তাকে কোনরকম গহনা আছে কিনা খুঁজে খুঁজে পাওয়া গেল একটা পিতলের আংটি মিনু বলল এটা তো আসি শান্তি ও যখন ইমেজ বাড়িতে থাকত তখন বেকার ছিল পিতলের আংটি টা ওর খুব প্রিয় ছিল হয়তো খুঁজে বেড়ায় সে যুবক ছিল তার কোনো ইচ্ছে পূরণ করতে পারেনি এই আংটি তার খুব প্রিয় ছিল আর সে ভালোবাসতো যে মেয়েটিকে তাকে সবাই আমরা চিনি
ঝুনু বলল সমরে বোন সুধা। সুদা তো আশিস মরার কয়েকদিন পরেই বিয়ে করে কানপুর চলে গেল পুরুষ বললেন তোমরা শোনোনি সুদা গতকাল কানপুরে রোগে ভুগে ভুগে মরে গেছে তান্ত্রিক বলল এই সুযোগে আমি এখানে একটা হোম যজ্ঞ করব তাহলে আসিস আত্মা এই আংটি নিয়ে উধাও হবে হয়তো মিলিত হবে শুধু আত্মার সঙ্গে সেখানে তো দেহের কোন ব্যাপার নেই শুধু আত্মার মিলন