সম্পাদকীয়

ইতিহাসের পাতা থেকে, জীবনদর্শনে, কে জানে,যদি তিনি ফেরেন…

তাঁকে নিয়ে পাতার পর পাতা লেখাটা আজ বাতুলতা, তাঁকে নিয়ে শয়নে, স্বপ্নে, সিনেমায় অথবা পাড়ার মোড়ে অহেতুক অনুপ্রেণার দোহাই দিয়ে পরম্পরা এবং নৈতিকতা রক্ষা করাটাও আজকাল প্রায় সার্কাসের ট্রাপিজের খেলায় পরিণত। মানুষটাকে তো বইয়ের পাতায়, ইতিহাসের, দিনের, মাসের, তারিখের বাইরে গিয়ে কবেই আবিষ্কার করে চলেছি প্রতিনিয়ত, নিজের আত্মসম্মান রক্ষার টানে, কখনো দেশের মাটি আর ছিন্নমূল লড়াইয়ের ফাঁকতালে নিজের নাগালের অনেক বাইরেই সাজিয়ে চলি দেশ-আত্ম-বোধক এক অনস্বীকার্য রচনা।
তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখতে পারিনি, ডায়েরি, চিঠি, লাইব্রেরির ধুলোর ফাঁকে ফ্রেম-করা ছবির দিকে নির্বোধের মতো তাকিয়ে থেকেছি, তাঁর ভাষা, ভাবনা, চেতনা, সংকল্প আত্বস্থ করার অভিপ্রায়ে অসফল হয়েছি বারংবার। শেখার এক দুর্নিবার আকাঙ্খা রয়ে গিয়েছে, ২৩, জানুয়ারী, অনুষ্ঠান, দিবস, এইগুলোর বাইরে গিয়েও অনাড়ম্বর সহকারে নিজের মধ্যে স্মৃতিচারণের বৈশিষ্টগুলোকে ভেঙেছি আর গড়েছি, জানিনা কোনো দেশনায়ককে কিভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা যায়, কিভাবে ভালোবাসা যায়, কারণ নিজের দেশের স্বার্থেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন হয়তো আরো একবার নতুন করে জরুরী এখন, ঠিক জরুরী অবস্থার মতোই।
আমার কোনো কথা শেখানোর নেই, শুধু সাহিত্য হৈচৈ-তে তাঁকে নিয়েই আজ কিছু মনের কথা লিখলাম, আজ নেতাজীর জন্মদিন,স্মরণ, সভা, স্থল পরিচালনা, গান, আঁকা, সবই থাকবে, তার সাথে একটা কোথায় যদি থাকে, তা হলো আত্বস্থতা, তাঁকে শৃঙ্খলায় মুড়ে যাবজ্জীবন রুপোলী পর্দার অবিসংবাদিত নায়ক হিসেবে নয়, আমাদের ঘরের, কলকাতার সেই কাছের ছেলে, প্রাণের ছেলেটি হিসেবে ভালোবাসার আত্বস্থতা!
লেখা পাঠিয়ে দিন সাহিত্য হৈচৈ-এ, মেইল করুন: sreesup@gmail.com/ techtouchtalk@gmail.com এ।

শ্রীতন্বী চক্রবর্তী

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।