সম্পাদকীয় নাকি !

অতিমারীর ঘুণপোকারা….
তোমার জন্য সকাল দুপুর বাজিয়ে কোন বিষণ্ণ সুর….
বছর জুড়ে সত্যিই বিষণ্ণ সুর বাজিয়ে গেছে অতিমারীর ঘুণপোকারা। তাদের বিষণ্ণতা বাজিয়েছে বাহ্যিক প্যানডেমিকের কিছু হাহাকার, অথবা হৃদয়ের বেদনার করুন সুর। চারিদিক জুড়ে খালি মৃত্যু মিছিল, আর নিস্তব্ধ পরিবেশ। যখনই কান পাতা হয়েছে শুধু আর্তনাদ ছাড়া আর কিছুই আসে নি। প্রকৃতি মানুষ কে ভালোবেসে যতটা সহনশীল হতে পারে তার থেকেই বেশি ভয়াবহ তার বিরূপতা। মানুষের প্রতিশোধ স্পৃহার থেকেও কয়েকগুণ বেশি ভয়ানক তা।
তবুও বিশাল ঘূর্ণিঝড় শেষে মাঝ সমুদ্র যেমন শান্ত হয়, পুব আকাশ জুড়ে লাল ছটা নিয়ে মুখ তুলে চায় সূর্য, সেরকমই অতিমারীর বছর শেষে, কিছু নতুন আশা কিছু ভরসা নিয়ে সমস্ত আকাশ জুড়ে লাল সূর্যের মত মুখ তুলে চেয়েছে নতুন বছর।
নতুন বছর আসা মানে তো শুধুই দিন পরিবর্তন বা ক্যালেন্ডার ভর্তি তারিখ নয়, সাথে সাথে বয়ে আসে আশা, ভরসা, ভালোবাসা, উদ্যম, আনন্দ…. সবই। এই বারও অন্যথা হবে না, শুধু এদের পরিমাণ একটু বেশি।
যাই হোক, সব কিছু ছাপিয়ে গিয়ে ভালো কাটুক এই বছর… ভালো থাকুক সবাই, ভালোবাসায় থাকুক।
যেটা না বললেই নয়…
নতুন বছরের সাথে সাথে আমিও পেয়েছি এক গুরুভার। টেক টাচ টকের কর্মকর্তা ঋষি ভট্টাচার্য(দাদা) এবং সুবীর মন্ডল(বন্ধু), দুজনের অফুরান অনুপ্রেরণা এবং ভরসার দরুন এই পদ গ্রহণ করা। কতটা পেরে উঠবো বা করে উঠতে পারবো জানি না, তবে চেষ্টা সাধ্যমত করবো। শুধু পাশে চাই আপনাদের সকলকে।
অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য
(সহ সম্পাদক)