রাস্তার দুধারে কেটে রাখা গাছেদের শুয়ে আছে চরিত্ররা, আমি তো আগেও কতবার বলেছি, আপনি হয়তো শোনেননি যে ঈশ্বর বানানের ঈ-কে দেখলে আমার ভ্রূ নাচানো মেয়ের মতন লাগে, আমি দ্রোণফুল ভেবে আকাশ চুষে খাই, আমি আমি নই, আমি আলোর ডাকঘর, আমি উইঢিবি হঠাৎ স্নানঘুম মতন, বিবর্ণ পেটিকা মাথায় দুঃখের ন্যায় থোর কাটতে কাটতে পদস্থ কলাকোশে আমি খড়কুটো, কবিতাকে মাটিয়াড়ী ছিন্নভিন্ন বিছানায় ফেলে লাঙল চালাই, আমি চাই ফসল না হোক পবিত্রতা বজায় থাকুক ল্যাঙোট পরায়, আমাদের মুঠো শিথিল হবার কামনা স্তোত্রের স্খলন দেখে জোতজমি এবং পুকুরপাড় নোটিশের উচ্ছেদ ধরিয়ে দ্যায় শহরকে, আমি বাথরুম থেকে ফিরে আবিষ্কার করি মাথার নীচে ছাদ গড়ে উঠছে, উপরে ছাই আকাশ ছাড়া আর কিছুই দ্যাখা যাচ্ছে না, ঝলসে উঠছে জাড্য ও মোচার রং, গন্ধের মউরি মেখে এক ভরপেট যুবতী যেন ভর বলছে যেন ওজন গলছে এখানেওখানেসেখানে, এককবিহীন রাশির গায়ে আমি নতুন গড়ানো রাবার স্ট্যাম্প শিখছি, একবার আমার রক্ষিতা একবার আমার প্রেমিকা – এই দ্বৈত কীর্তন ল্যুভরে সাজানো বেআব্রু এক সন্ন্যাসী যিনি ৮৫ কিগ্রা ভার নিয়ে স্থির আপনার সামনে দাঁড়িয়ে ১৪০টি রক্তকণিকার নীচে আরও ৯০টিকে ঝুলিয়ে হাঁটছেন রক্তদান শিবিরে – এঁকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করুন, ছিঁটেফোঁটা করুন হার্মাদ দিয়ে, গার্হস্থ্য বিষয়ে এঁর আগ্রহ কম। ডুমুরের সাথে কথা বলা ফুল তৎক্ষনাৎ ফুটে ওঠা সাদ্ধী জলের দিশেহারা পাগলের চেয়ে কোনো মাগি কোনো মিনসে ট্রুলি লাভেবল্ নয় এঁর কাছে, এমন মখমলগতি অমলেটীয় আপ্যায়ন সাধের গাঢ় ঠেলতে বারন করে আমায়, নরমশরীর নরমশরীর পেতে চায় যে আমি তাঁকে আমরা চরিত্রহীন তালধ্বজ বলব যে আগেও সেই বুকের প্লাজমা খেয়েছে, সহজ প্রাচীন লোলচর্ম ফেলেছে সব চন্দ্রযানের পেছনে। কোনো ধার্মিক বিজ্ঞের অহংকারী কপালে ওঠা ঘামাচি ও তাঁর উরুতে বৃষ্টি পড়লে বিনয়ী হয়ে যায় খড়গহস্ত, কৃপাময় ভক্তিগীতি নিয়ে প্রতিদিন যোনিকূপের মধ্যে নিজেকে ছেড়ে দ্যায় নিজের মধ্যে, কারণ কবিতা কবিতা নয়, আমিও আমি নয় : দুধের বোঁটার ওপর ক্রমাগত ছড়িয়ে দেওয়া সাদা খই এবং ছেঁড়া বালক। আমরা কীর্তন শুরু করলে সহসা মেঘ ডেকে ওঠে, কাকে ডাকে! গর্জনে গর্জনে সারা আকাশ আমাদের সাথে গলা মেলায়, বায়ুকোষ আমাদের পায়ে পা, আমরা বিভোর, বৃষ্টি হচ্ছে সারা শরীর জুড়ে, কন্ঠস্বরে মেঘপুঞ্জ নিয়ে আমরা বজ্র গাইছি…