পরিযায়ী পাখি
পরিযায়ী পাখি তুমি,
বেঁধেছিলে বাসা,
কোন এক অচিন বৃক্ষের ডালে!
সৃষ্টি করেছিলে এক সুখনীড়।
খোলা নীল আকাশ ছিল,
তোমার ছাদ,
সামনের লালমাটি
বহন করেছে সাক্ষ্য,
তোমার ক্ষুদ্র অস্তিত্বের,
নীরবে,
নিভৃতে!
কিন্তু খণ্ডিত হল –
তোমার অস্তিত্বের তাৎপর্য!
লোভ ও লালসা,
গ্রাস করল তোমার-
সুখনীড়।
স্বার্থান্বেষী পুঁজিপতিরা,
ঘোষণা করল যুদ্ধের:
ভিটেহীন-
সর্বহীন-
এক বস্ত্রে,
এক মুঠো অন্নের হাহাকারে-
বিদীর্ণ,
এই আকাশ,
এই বাতাস!
কোটিকোটি মানুষের সাথে-
মিলিয়ে পা,
বেড়িয়ে পড়লে ,
এক অন্য ঠিকানায়!
নেই যেখানে আলো,
কোন আশ্বাস,
কোন স্বস্তি।
এক অজানা ভবিষ্যৎ,
আহ্বান জানায় তোমার,
বাড়িয়ে দুহাত,
আলিঙ্গন করতে চায় তোমায়!
নয় তা সখ্যতা,
এক সর্বগ্রাসী অনল,
ডেকে আনে,
এক চরম অভিশাপের কালোরাত্রি!
আজ তুমি এক পরিযায়ী পাখি,
মাটির খোঁজ আজও কাঁদায় তোমায়,
মাটির টান আজও অস্থির করে তোমায়।
বিধাতার কি নিষ্ঠুর পরিহাস!
যুগের পর যুগ-
ফেলে আসছ পদচিহ্ন তোমার,
অতীতের গর্ভে!
সাক্ষী ইতিহাস,
সেই রক্তস্নাত মুহূর্তের!
তবু জাগ্রত হয়নি মনুষ্যত্বের।
এ এক অভিশাপ,
তিলে তিলে ছিন্ন করছে,
মানুষের অধিকার,
পতন ঘটছে তাঁর আত্মিক ছন্দের!
তবুও অপেক্ষায় রত তুমি,
কবে উদিত হবে সেই নতুন সূর্য,
কবে উপস্থিত হবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
যেখানে মানুষ পাবে মর্যাদা,
লুপ্ত হবে সকল ষড়যন্ত্রের বীজ,
লুপ্ত হবে স্বার্থান্বেষীরা,
লুপ্ত হবে অমাবস্যার নিশি!!