তুমি –
আকাশে বয়ে যাওয়া নদী
দুধপথের বাঁকের মতো জড়িয়ে থাকা আলোর শ্বাস
মুলতানি মাটির উজ্জ্বল ত্বক ভেবে হাজার ভোল্টের তোমার তাম্র শরীর ছুঁতে চাওয়া
তুমি –
আঁধার জমিনে যুগান্তরের বীজ
চাঁদমাথায় আড়বাঁশী থেকে ঝরেপড়া জোছনার ছায়া
কবির যাবতীয় উর্বরতা থেকে প্রসবিত হওয়া মোহণবাঁশির বেণুমাধব
আর বুকে আকাশ কুঁচিয়ে তৈরি হওয়া এক একটি পাঁজর
আবদ্ধ প্রেমের কি অপরূপ খাঁচা
অন্য পাড়ে অশ্রুর সরোবর সমাধিমগ্ন
সেখান থেকে পায়ের গোছ তুলে যে মেয়েটি ব্রহ্মকমল তুলতে আসে
আসলে সে আসে তোমাতেই ডুবে মরার বর প্রার্থনায়
তুমি –
গানের পথে জাগ্রত হে দেবতা
বাউলের আনন্দ লহরিতে বাউলানীর ঝোরা
ফুলপাড় শাড়ির ভাঁজে যমুনার ঢেউ ওঠা
ময়ূরপঙ্খীর মতো আনন্দ প্রহরে বৃন্দাবনী সারং, বর্ষে বর্ষায়
আর জলের গন্ধে হিজলের হারে সাজে রাধামণি
আজ যমুনায় রাধার সন্তরণ বিদ্যার দুই যুগ বিশবছর
তবু তোমায় শেষ জীবনের পাওয়া আমার হয় না
হে আমার এ জীবনের দ্বারকেশ্বর প্রেমিক