একটা স্বপ্নময় বাড়ি… বড় কালো গেটওয়ালা, হলুদ-সাদা রঙয়ের দোতলা বড় একটা বাড়ি… কিছু কিছু জায়গা থাকে যেখানে হয়তো জীবনে একবারই যাওয়া হয়,জানি আর কোনোদিন যাবো না ওই পথে… তবু ঐ একবারেই যেন বড্ড আপন হয় বাড়িটার আনাচ-কানাচ… প্রথমবার বাড়িটায় পৌঁছতে ঠিকানাও লাগে না।। একবার গিয়েই আশ মিটিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে নিই বুক ভরে… একঘর ভর্তি রাশি রাশি বই ছুঁয়ে দেখে সবকিছুকে নিজের করার সাধ জাগে..বাড়িটার প্রতিটা কোনায় নিজের হাতের ছাপ রেখে আসতে প্রাণ চায়… এমন স্বপ্নের বাড়িই আসলে ‘বোধ হয়’ ঘর হয়ে উঠতে পারে!!!
(দুই)
কদিন ধরে চেতনে,অবচেতনে একটা ছবির মতো পাহাড়ি গ্রাম,সেই গ্রামের ঢালু পায়ে হাঁটা একটা সরু রাস্তা,একটা ঝিরঝিরে বৃষ্টিভেজা কমলা রঙা সন্ধ্যে বারবার ভেসে ভেসে আসছে…
বুঝতে পারছি সেটা বমডিলাই হবে বোধহয়!
অরুণাচলে যাওয়ার পথে দুরাতের জন্য ছিলাম ওখানে…এই লকডাউনে বাড়ির গোল বারান্দায় বসে বসে,ভোর রাতের স্বপ্নে শুধুই ঐ পাহাড়ি গ্রাম আর তার বৃষ্টিভেজা বিকেল!
আর…একটা সুর,যদিও বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি বা ওঁ মণিপদ্ময়ে হুম্ কোন সুরটা শোনার টানে ঐ দুটোদিন বারবার পাহাড়ি ঐ পাহাড়ি পথের বাঁকের মনেস্টারিতে গিয়ে সন্ধ্যেটা কাটাতাম জানি না!!
তবু ঐ দুটোদিনের সন্ধ্যেবেলার যে শান্তিটা বুকের বামদিকে যত্নে রয়ে গেছে,এখনকার এই অস্থির আবহে সেটাই পেতে চাইছি বোধহয়…বারবার!