অবেলায় ভারী বৃষ্টিপাত, বর্ষার মেঘ বড় বালাই ছিল। শনিবারের মুহূর্তযাপনের হিসেবনিকেশ কিছুতেই আর হয়ে ওঠেনা। চেনা শহর, চেনা মুখ, চেনা মানুষগুলো আজ সব ঘরবন্দি, পুরোনো ধারাপাত অথবা ছোটবেলায় পড়া নামতাগুলোও গুলিয়ে যায় ইটা ভেবে যে কবে আবার সবকিছু আগের মতো হয়ে উঠবে। ‘নিউ নরম্যাল’ শব্দটা কি অদ্ভুতরকমভাবে জীবনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে, কি সোজাসাপ্টাভাবে ছেড়ে চলে যাচ্ছে কিছু লোকজন, ফিরে আসছেনা পুরোনো পাখির দল,ঝিল, বিল, পুকুর, নদী, পার্ক, সবগুলোই খালি ডালপালা, নিথর বিকেল আর বারোমাস্যা চুপকথার উৎসব লেগেই থাকছে। চারদিকে বেশ কিছু খারাপ লাগার মধ্যেই মনের ভেতরটা পুজো আসার কথা ভেবে সদাচঞ্চল হয়ে থাকে, যদিও এখনো জানিনা, অন্যবারের পুজোর সময়গুলো থেকে এইবারের পুজো কিভাবে কতটা আলাদা হবে।
বিশ্বকর্মা পুজো, ঘুড়ি, গঙ্গার ধরে ঝোড়ো হাওয়ার সাথেই কাছাকাছি বাড়ির বারান্দার উইন্ডচাইম আর গঙ্গার সন্ধ্যারতির ঘন্টা কোথাও একটা অস্ফুট যন্ত্রণার জন্ম দেয়, কিরকম যেন অন্ধকার একটা চিন্তা, টিভিতে দেখা নিষ্ঠুর দৈত্যের একটা বিশাল অট্টালিকার ভেতরে দমকা বাতাস আটকে থাকার মতো অভিজ্ঞতা। নির্বান্ধব, টেকনোলজি-সর্বস্ব জীবন তাও কিছুটা প্রানোচ্ছল হয়ে ওঠে যখন পূজাবার্ষিকী, ছোটদের বই, ছোটদের সিনেমা এগুলো দেখি, এগুলো নিয়ে লেখালেখি করি, ছড়া, কবিতা, গোয়েন্দা আর ভূতের গল্পের মধ্যে খুব অবধারিতভাবে অবকাশের ‘নিজস্বতা’ খুঁজতে থাকি। হ্যাঁ, এটাও তো এক ধরণের সেলফি-তোলা, সেলফকে খুঁজে পাওয়া, সেলফের সাথে অন্যদের আবার আবিষ্কার করা, সেটাও তো এই অতিমারীর কবলে পরেই অনেকটা গভীরভাবে বুঝলাম।যখন বলি ‘ভালো লাগেনা’, যখন নিজের কণ্ঠস্বর কিছু কিছু সময়ে নিজের কাছেই দুর্বিসহ হয়ে ওঠে, তখন তো এই শনিবারের হৈচৈ-এর কথা ভেবেই এগিয়ে আসি জীবনের ব্রত উদযাপনে।
এই সেই সবকিছু ভালোলাগার অংশ নিয়ে আবার এই শনিবার চলে এলাম ‘সাহিত্য হৈচৈ’- এ। পড়তে থাকুন www.techtouchtalk.in
আমরা সাহিত্য হৈচৈ-এ প্রত্যেক শনিবার নিয়ে আসছি সেই মন-ভালো করার, ছোট্ট বন্ধুদের জন্যে তো অবশ্যই, আর সব্বাই যারা যারা ছোট্টবেলাগুলোকে আবার ফিরে পেতে চাও। তোমাদের গল্প, বায়না, কবিতা, আঁকা, ভালোলাগা, মন্দলাগা, দুষ্টুমি সবকিছুর জন্যে আছি আমরা টীম টেকটাচটক শনিবারের ‘হৈচৈ’ নিয়ে।
মেইল করো: sreesup@gmail.com techtouchtalk@gmail.com
শ্রীতন্বী চক্রবর্তী