কবিতায় ঈশিতা ভাদুড়ী
১
শূন্য থেকে শূন্যে
এক গহ্বর থেকে অন্য গহ্বর, তারপর আরও অন্য গহ্বর। ক্রমশ ভেঙে পড়ে অন্ধকার স্তব্ধ প্রাচীরে, আর, গহ্বর থেকে গহ্বরে ওঠে জেগে কৃষ্ণপক্ষ। স্তব্ধতার ভিতরে অন্ধকার, অন্ধকারের ভিতরে শূন্যতা। ক্রমশ শীত ঘিরে ধরছে আমায়, আর, একটা ঈগল পাখি।
ভেসে যাচ্ছে
শূন্য থেকে শূন্যে
মরা পালক…
২
অন্ত্যমিল
বুকের মধ্যে যে সব কান্না বেড়ে উঠেছে নদীর জলের মত, তাদের মধ্যে কত অন্ধকার ছড়িয়ে আছে কত অমাবস্যার মতন, তাদের মধ্যে কত কাঁকড়া বিছে হেঁটে গেছে কত সাপের মতন, বুকের মধ্যে যে সব অন্ধকার জমে উঠেছে পাথরের মত, তাদের মধ্যে কত দীর্ঘশ্বাস ঝরে পড়েছে কত নষ্ট প্রহরে, তাদের মধ্যে কত বিষাদ হয়েছে জড়ো কত স্তব্ধতায়, সেইসব রহস্য অমীমাংসিত রয়ে যাবে বহুকাল।
বৃষ্টিগানে
রয়ে যায় কী কোন
অন্ত্যমিল
(এই ধরণের কবিতাগুলি হাইবুন নামে পরিচিত। মূলত হাইবুনের উৎপত্তি জাপানে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন ভাষায় হাইবুন লেখা হয়ে থাকলেও বাংলাতে এই রকম কবিতা সম্ভবত এই প্রথম।)