এমন ভাবে কাটা পড়ল, দগদগে ঘা সেলাইয়ের ফাঁসে বাঁধা গেল না আজও
সামান্য চাপে ফেটে পড়ার সম্ভাবনায় প্রহরী বসানো
বন্দুকের নলে, অস্ত্রের সফল পরীক্ষায় বীরের দর্প
দেশভাগ আর উদ্বাস্তুর ক্ষত – ক্ষোদিত স্বাধীনতার মূর্তি গলায় ঝোলানো
রাম আর রহিমের কীর্তনীয়ারা এদিকে দেখো একবার
অনাহার, অশিক্ষা বেকারি আর সীমান্ত সংগ্রামের অন্ধকার টানেল পেরিয়ে
ক্ষয়ের শিল্পে সমৃদ্ধ বোরা কেভ—এই আমাদের পর্যটন মুখর স্বাধীনতা
সম্পর্কের সৌন্দর্য ভেঙে,অধিকারের আগ্রাসনে
ভাইয়ে ভাইয়ে কুরুক্ষেত্র কতদিন আর লিখে যাবে!
স্বাধীনতা জন্মগত অধিকার আর অধিকার জীবন ছাপিয়ে যেতে চায়
তাই তো মানচিত্র সীমাস্বর্গের রূপকথা!
যদি ধর্ম সংকট, যদি গণ্ডী লঙ্ঘনে লঙ্কাকাণ্ড
যদি আমারই মৃত্যু লেখে আমার হাত
মোড় ঘুরিয়ে দিই চলো, গভীরতম দেশ থেকে আমি মানুষের মা, ডাক দিই
‘এসো মানব সন্তান অধীনতা শিখি
বারুদের গোলা নয়, তুলে নিই একে অন্যের বোল ও বাণী
লিখি সেতু , পারাপার পাক সীমা ও অসীম
ভালোবাসা রক্তপাতহীন জয় যতটা পারে পৃথিবীর শেষ সীমা সে’ই
ইঁট কাঠ মাটি পাথরের ত্রিভুজ নয় , একতা আর অখণ্ডতার
জীবিত ভাস্কর্যই আমাদের দেশ
আমাদের প্রেম ও প্রণাম তার চরণে’