আমি তার দিকে এগোতে চাই , আমরা চাই , ওরাও
কিন্তু তার শরীরে কেবল কাঁটা। কাঁটায় রক্তচোখ
যে পেরেকগুলো একদিন যীশুর শরীরে গাঁথা হয়েছিল
সেগুলোই আজ আমার জন্মভূমির দেহে । সন্দেহ , অবিশ্বাস
চরম অবমাননা দিয়ে পিস পিস করে কাটা আমাদের স্বপ্ন
আমাদের অবিচ্ছেদ্য হরতন আজ কবিতা লেখে। সোচ্চারে
পড়ে সমবেত । সেই কবিতার শব্দব্রহ্ম থেকে বৃষ্টি নামে
বিচলিত হয়ে লাভ নেই প্রভু । আপনাদের অস্ত্র ভেসে যাবে
সব রক্ত , দখল আর পুঁজের নর্দমায় ফুটবে লাল পলাশ
২। বাংলা কবিতার মঞ্চ
রাহুল পুরকায়স্থ আর জুয়েল মাজহার কবিতা পড়ছেন সমস্বরে
একই মঞ্চে বাংলাকবিতা পড়ছেন জাহ্ণবী জাইমা ও তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়
খেজুর , ভাওয়াইয়া আর ঝুমুরের রস গড়িয়ে গড়িয়ে মাটি ভিজে উঠেছে
মানচিত্রের দেওয়াল বরাবর যারা কাঁটাতার পোঁঁতে, তারা ক্রমে হয়রান
কিছুতেই আলাদা করতে পারছে না পূর্ব আর পশ্চিমের ভাঙা জার্মানি
বুলডোজার দিয়ে সমস্ত ঔদ্ধত্য ভেঙে ফেলেও কবিতার মঞ্চ অধরা
শূন্যে শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে কবিতার মঞ্চ।রিখটার স্কেল যতই গর্জাক
এ মঞ্চ ভাঙবে না । মঞ্চের ভিত ধরে আছেন ভারভারা রাও । অসংখ্য
মানুষ কবিতার ভেন্টিলেশনে ফুৎকার জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক কুরুক্ষেত্র
কোভিড উনিশকে । বাংলার মাঠেঘাটে ভরে উঠছে বিশল্যকরণীর গান।