গুচ্ছকবিতায় অভিষেক সৎপথী

১| অকৃত্রিম মাছ

নোনা নীল রং দেখে স্বাদু মাছ খাবি খায়
অথচ প্রস্তুত উট স্বমহিমায় জিভ দিয়ে
কেটে নিচ্ছে কালো কালো কাঁটা গুল্ম লতা।
অপ্রস্তুত প্রবাসী রেললাইন দিয়ে হাঁটছে।
শেষ হলো নবকুমারের সমুদ্র দর্শন
পায়ের দু আঙুলের মাঝে শ্রাবণের দাগ
ছোপ ছোপ কান্না লেগে আছে।
বাড়ি ফিরে যা
গাই নতুন বাছুরের গা চাটছে সস্নেহে সুস্নাত পানকৌড়ির রং চটা রোদজলে সূর্য প্রণাম
ডেটল ছুঁয়ে স্নান করে জয়ের খুশিতে
লকডাউন উঠলে পেয় জলে ফিরে যাবে মাছ।

২| সঞ্চয়

ইঁদুর কিংবা পিঁপড়া
গর্ত দেখেই মনে হয় এই গুলিই ঘর।
মাটির ওমে জমা রাখে মহত্ত্ব
তিল তিল করে গড়া পতঙ্গের বাইজেন্টাইন।
ফেলে আসা পূর্ব জাতকের
বহুমাত্রিক শিকারীর ঘর।
সেখানে কিছু জমা থাকে না
এই ভাগফলের কোনো অবশিষ্ট ছিল না।

৩| সত্তরের মাছ

অলিগলিতে পড়েছিল কণিষ্কের মতো মুন্ডহীন ধড়
একদিন মিলিয়ে যায় চিমনি নির্গত ধোঁয়ার সাথে।
সত্তরের দশকের উজ্জ্বল মাছ গুলির মতো
চিবিয়ে চিবিয়ে অনেকটা সময় ধরে খাওয়া
বেছে বেছে কাঁটাগুলো থালার এক কোণে রাখা।
মাছগুলো নীল আকাশে থরে থরে তারায় সাজানো
আমরা মাছের গল্প শুনি,গন্ধ বুঝতে পারি না সহজে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।