— বা-বা! কত্তো লোকের ক্রাশ তুই!
— হুম তো, শুধু তোর ছাড়া।
–আমার ওসব আসে না।
— কিসব আসে না?
— ঐ যে সব ‘আদরবাসা’, ‘টাসা’..
— কি আসে তবে?
— যা আসে, সময়মত আসে।
— কি বকে যাচ্ছিস, জানিস?
— কি আর? যা আসে, তাই বললাম।
— মগজ বলে কোনোদিন কিছু ছিল না, আজ-ও নেই না তোর?
— নেই-ই তো। মগজ থাকলে, ধোলাই-ও হ’তে পারে। তারচেয়ে বরং মনের কাজ বাড়ুক।
— ওহ! ওটা আছে তোর?
— ঐ আর কি! ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে বেড়ানোর জন্য আছে।
— সে না হয়, খেতে-পরতে তুই-ই দিস, বুঝলাম। কিন্তু, মোষটা কার…
— সেই খোঁজটা তো মোষের মালিকের কাছে থাকা উচিত। আমি তো আর পেছন পেছন ঘুরে মরি না।
— তা-ও ঠিক। তুই তো আবার ব্যস্ত মানুষ। লোকের ক্রাশ খুঁজে বেড়ানোর যাবতীয় দায় তোর, সে তো ভুলে-ই গেছিলাম!
— তা-ও তো একটা কাজ ক’রি। তোর মতো তো আর..
— আমার মতো তো আর?
— মুণ্ডু! যা, ক্রাশ গোন।
— আর তুই কি গুনবি, আমার মোষটার দড়িতে ক’টা ফাঁস দেওয়া যায়?
— হুট! ফাঁস দিলে দম আটকে যায়। খোলা-ই থাক বরং। ফেরার থাকলে এমনি-ই ফিরবে….