• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (পর্ব – ২২)

সোনা ধানের সিঁড়ি

৪৮
দেওয়ালীর রাতে প্রতিটা বাড়িতে মোমবাতি জ্বলছে। আমরা সারা পাড়া ঘুরে ঘুরে দেখছি কোন বাতিগুলো নিভে গেছে। বাতি নিভে গেলেই আমরা সেগুলো নিয়ে নিতাম। নেভা বাতি তুলে নেওয়ার সময় খুব তাড়াতাড়ি ফুঁ দিয়ে একটা দুটো বাতি নিভিয়ে সেগুলোও হাতে তুলে নিতাম। যখন বাড়ি ফিরতাম মনে হতো রাজ্য জয়ের আনন্দ। বাতিগুলো পেয়ে যে কি আনন্দ হতো তা বলে বোঝাতে পারবো না। বছর ঘুরে গেলেও সেগুলোকে কাছ ছাড়া করতাম না। আজও ভাবলে বাতিগুলো মনকে উষ্ণ রাখে।
৪৯
মানুষ মুখে বলে এক, আর যখন কাজ করতে যায় তখন করে সম্পূর্ণ ভিন্ন কাজ। এটা দিনের বেশিরভাগ সময় করে বলে এটা তার একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। কিছু করার নেই। চেষ্টা করলেও সেখান থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারছে না। কারণ তার ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক। ছোটবেলা থেকে সে এইসবেরই অনুশীলন করেছে। কিন্তু যখন সে বাইরে আসছে, মানুষের সঙ্গে মিশছে তখন সে নিজের একটা অন্যরকম ভাবমূর্তি তৈরি করতে চাইছে। আসলে সে তো জানে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। আসলে বাড়িতে যে জামাই পড়ুক, বাইরে একটা অন্যরকম ছাল দরকার হয়ে পড়ে। এটাও ঠিক সেরকম। খুব ঘনিষ্ঠ জন যখন এটা করে তখন এটা খুব কষ্ট হয়।
আমরা অসহায়। কিছু করার নেই। বাঁচতে তো হবে। তাই এসব মানুষদের নিয়েই পথ চলতে হবে। জীবন থেকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই, তাহলে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।