সাধনা নিয়ে কোনো এক প্রসঙ্গে এটি লিখেছিলাম ফেসবুকেই। মন বললো মূল বক্তব্য শেয়ার করা উচিৎ। না, কোনো তর্ক নির্মান আমার উদ্দেশ্য নয়, কারণ শ্রীগুরুদেব মাত্রই – ” দ্বন্দ্বাতীতং গগন সদৃশং।” এবং আরো বলছি এ আমার বিশ্বাস নয়, এ আমার অন্ধবিশ্বাস। সুতরাং –
প্রথমেই বলেছি সাধন গুরুমুখী বিদ্যা। বই পড়ে সাধন হয় না, হতে পারে না।
আর একটা মজার জিনিস কী, পরম সত্য যা কিছু তার শতকরা ৯৯ ভাগ আজো লিখিত নেই, হবেও না লেখা। তা শ্রুতিতেই থাকবে চিরকাল, মানে তা গুরুপরম্পরায় শ্রীগুরুদেবের মুখেই পাওয়া সম্ভব
যেমন যে অনুবাদের বই পড়ে বেদের শ্লোক আর তার মানে জেনেছে তার সাথে বেদ নিয়ে আলোচনার মানেই হয় না, তা সে যে হোক। উন্মাদের ন্যায় তার আস্ফালন থাকবে, থাকবে সহস্র অপব্যাখা আর প্রলাপ। যতক্ষণ না একজন সদগুরু কৃপা করে বেদরহস্য খুলছেন ততক্ষণে কারুর বাপের ক্ষমতা নেই বেদের ১% ও রহস্য ভেদ করার। তারা ভাববে এবং আরো একশো জনকে ভাবাবে যে তারা বেদ রহস্য জানে বা বোঝে, আসলে তা আর কিছু নয় একটা আলেয়ার আলো। আর আলেয়ার আলোতে কে কবে পথ দেখেছে বা দেখাতে পেরেছে।
আসলে ইতিহাস অন্য কিছু। গলদটার মূলের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস, বেদাদি পরম্পরা সব কিছুর ইতিকথা বিকৃত করেছে লালমুখো পাশ্চাত্যের বাঁদরগুলো। উদ্দেশ্য একটাই নিজেদের বাচ্চা ধর্ম(?) ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ দেখানোর চেষ্টা। তারা অনেকাংশেই সফল, তা না হলে আমাদের সাল ২০১৮ হয়? আর তাদের দেখানো পথেই কিছু উদ্বাস্তু মনোবৃত্তির মানুষ সত্য সন্ধানের নামে কলমে লাম্পট্য দেখাচ্ছে। আর তাদের ঠিক কী বলা চলে জানি না যারা নিজেরা না পড়ে বা সত্য জানার চেষ্টা না করে সেই লাম্পট্যকে সত্যদর্শী প্রবচন বলে মেনে নিচ্ছেন। বোধহয় তাদেরই ছাগলের তিন নম্বর ইয়ে বলে
আরে এ সি রুমে বসে ধর্মের চচ্চড়ি বানানো খুব ইজিয়েস্ট মেথড পাব্লিসিটর। স্পটে গিয়ে দেখো, বা আজো হিমালয়ে বা নর্মদার ধারে গিয়ে দেখে আসো আমাদের ধর্ম কী। কত শত রাজার বাড়ির ছেলেরা দিনের পর দিন সংসার, বৈভব, প্রতিপত্তি ছেড়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কাটাচ্ছেন(ধনী দরিদ্র ভেদ করা উদ্দেশ্য নয়)। নিজের বৃদ্ধপ্রপিতামহ সম্পর্কে বলতে গেলে যাদের পা কাঁপবে তারা আবার ঋষি মহাত্মাদের নিয়ে খেলতে গেছে