[ ইচ্ছে না করলেও নেট বন্ধ করার নির্দিষ্ট টাইম মেনে চলতেই হয়। অশান্তি যে হয়নি তা তো নয়!… তবু, মেনে নেওয়াটা মন যে সায় দেয়নি, তা নয়… ওদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে… সেটা দেরী হলে, শুতে দেরী হবে… আবার সকালে উঠেই মেয়েকে রেডী করে স্কুলের বাসে তুলে দিতে হবে । কাজেই, উপায় নেই। কিন্তু, ভদ্রলোকের সঙ্গে কথাবার্তা বা লেখালেখি করতে কোথায় যেন একটা ভীষণ ভাললাগা অনুভব হচ্ছে। লেখার উত্তরে লিখতে ইচ্ছে করছে। এর আগে যে অন্যদের সঙ্গে এমন হয়নি, তাও তো নয়!!… হয়েছে।… হয়েছে বলেই গত দুবছর এনার কথা তেমন মনে হয়নি। সেসব কথা নাহয় একটু একটু করে বলা যাবে!… এখন, আজকের বিষয়টি নিয়ে ভেতরে ভেতরে কেমন একটা ভাল লাগা বোধ কালকের লেখার প্রস্তুতি গড়ে দিচ্ছে… কাজ করতে করতেই… সবার অগোচরে…. ]
অঃ: আগে শব্দগুলির অন্তর্নিহিত অর্থগুলি খুঁজে পাও, তারপর…☺
মোঃ: হ্যাঁ… তাই-ই…!!
অঃ: আচ্ছা!? এখন তোমার জন্যে আমার ভয় করে কেন?😎….তোমার ফোন নং দেওয়া থাকে তো সবজায়গায়!! !
মোঃ: ফোন নম্বর দেখা গেলে অসুবিধে নেই… আমি আবেগ ছাড়া প্রকাশিত হতে পারি না… আর এখনকার দিনে সেটি ভারি দুর্লভ বস্তু… কাজেই ভয় নেই… 🙂
অঃ: আমাকে ভয় করছে না?
মোঃ: হা হা… কিসের ভয় পাবো…!?
যেখানে স্বেচ্ছা সমর্পণ থাকে সেখানে ডাকাতির ভয় পাওয়া অমূলক ! 🙂
অঃ: ……’খুনী হয়েও যেতে পারি, এমন মালা…’ পরানোর ভয় করে না!?.. লিখলাম যে!!…
মোঃ: ভালবেসে খুন হতে রাজি আছি তো… ভয় নেই তাই… 🙂
অঃ: উফ্…, কী বলছ ‘মো..’!!!
তাহলে, এর আগে তোমায় কেউ খুন করে নি, বলতে চাও? তোমায় কেউ ভালবাসে নি, এ হতে পারে? নাকি, তারা তোমার অন্তরের এই অতুলনীয় সৌন্দর্যের সন্ধান করতে পারে নি!!! রূপ দেখেছে, গুণ দেখেনি!! তোমার গুণগ্রাহী তো কম নয়!!!
ছুরি মারা নিয়ে আমার আর একটা গান পরে পাঠাবো এখন এর উত্তরগুলোই আসুক।
এতদিন স্বেচ্ছা সমর্পণের কথা মনে হয় নি কেন? তাহলে কত মূলবান সময় নষ্ট হত না! নাকি তখনো সময় হয় নি!?
মোঃ: সত্যিই বুঝি সময় হয়নি… সময়ের চেয়ে আগে এবং প্রাপ্যের চেয়ে বেশি কিছু পাওয়া যায় না… আমার এপর্যন্তের জীবনে এটুকু বুঝেছি….
[ দুপুরবেলা অর্কপ্রভর কাছে একটি ভিডিও এল : ঘরোয়া পোশাকে উপুড় হয়ে শুয়ে, গান গেয়েছে,
‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না…’ ] মোঃ : ভিডিও তে গান গেয়ে পাঠালাম… পেয়েছেন!?
অঃ: হ্যাঁ, শুনলাম… আকুল আবেগটি দেখলামও… গলা কাঁপছিল 😊…
ভাল লাগাটা কী করে যে প্রকাশ করি!!
….’আমি নিশিদিন’ তোমার পাশে আছি, ‘তুমি অবসর মত আসিও’। 😊… চিরদিন রাখতে চাওয়ার মত করে তো আসনি!!…
গানটি গেয়ে গলা কেঁপে, সুরচ্যুতি হয়ে গেছে বলে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছ।…
কাঁপবে না!?… এ গান আমাকে শোনাতে গিয়ে যদি গলা না কাঁপত, কোন রকম বিচ্যুতি না ঘটত, তাহলেই বরং মনেহত, বুদ্ধি দিয়ে, কণ্ঠ দিয়ে গেয়েছ!… হৃদয় দিয়ে গাওনি!!… আমার জন্যেও গাও নি, আমার উপস্থিতি তোমার মনে সাড়া জাগায় নি। তখন ক্ষমা করে দিতাম।
এই অর্থবহ সহজ সমর্পণ…. আমার উদ্দেশে(!!)…. এরপরে ক্ষমা চাইছ!!!…. “আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান, তুমি জান নাই, তুমি জান নাই, তার মূল্যের পরিমাণ “।
তোমাকে ক্ষমা করা যায় না, হৃদয়ের নিভৃত কোণে বন্দী করে রাখা যায়।
অনেক কথা লিখতে ইচ্ছে করছে।….. অনেক দেরীতে এলে। হয়তো এভাবে পাওয়াটাই পরম পাওয়া। সায়াহ্নে ছাড়া পঞ্চদশীর পূর্ণিমার চাঁদ পূর্ণভাবে আকাশে তো ওঠে না! তাকে দেখতে গেলে সায়াহ্ন থেকে নিবিড় রাত্রির পথপরিক্রমা প্রয়োজন হয়। আর যেন হারিয়ে যেও না! তোমার সমস্ত কলঙ্কদাগ স্পষ্ট হয়ে উঠলেও, আমার ঘনরাত্রির অন্ধকারে তোমার মোহময়ী সৌন্দর্য পরিপূর্ণতা পাক, আমি তাকে সসম্মানে, নিষ্কলুষ মর্যাদায় ভোরের কাছে পৌঁছে দেবো। নিশ্চিন্ত থেকো।
তোমার এই সাধারণ ঘরোয়া রূপটাই আমার কাছে বেশী আকর্ষণীয়। আমার কাছে এভাবেই এসো।
🙂❤🙂
(না, ওপ্রান্ত থেকে হঠাৎ কোন সাড়া নেই। এটা বেশ বিরক্তিকর। অর্কপ্রভর মনেহল, প্রত্যেকটা কাজের জন্য মনের একটা আলাদা ভাব থাকে। এই মুহূর্তে যে ভাবের মধ্যে মন ডুবে ছিল, সেই মনকে এখনই অন্য কাজে লাগানো খুব মুস্কিল। অনিশ্চিত সময়ের অপেক্ষা বড় অকাজের। সেসময় ফেসবুকের অকাজেই শুধু মনকে কাজে লাগানো যায়।)
(অনেকক্ষণ পরে)
মোঃ: এই বাড়ি ঢুকলাম….
কেন জানিনা চোখে জল এলো…. আর ব্যথায় যে দুর্নিবার আনন্দও আছে… সেটা আরও একবার বুঝলাম… প্রথম বুঝেছিলাম মেয়ে জন্মানোর পর…
অঃ: কেন চোখে জল এল? কেন ব্যথা পেলে? তোমার তো চোখে জল আসার কথা নয়! দুঃখেও নয়, আনন্দেও নয়। তুমি তো অপূর্ণা নও! তবু যদি তুমি সহজভাবে (যেমন বলো) আমাকে কিছু বলতে চাও, আমার কাছে কিছু পেতে চাও ( জানি, তোমার বাস্তবিক অভাব কিছু নেই), তার যথাযোগ্য মর্যাদা তুমি পাবে, এটুকু নিশ্চিত জেনো। তাতে আমি ভীষণ খুশিই হব। তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পারো, তোমার মুখের সহজ নিবেদন ব্যর্থ হবে না।
মোঃ: এই হৃদয়মথিত আবেগ টুকুর জন্যই তো জনম-জনম অপেক্ষা করে থাকা…
আমি এমন হৃদয়ে স্বেচ্ছাবন্দি হতে রাজি….
আমি তো হারাতে চাই না… হঠাৎ কখনো দেখি আমার উপস্থিতি আর কোন গুরুত্বই রাখছে না… কেমন যেন খেলো হয়ে গেছে … টানটুকু না থাকলে জবরদস্তি উপস্থিতি জাহির করতে পারি না আমি… তাই হারিয়ে যেতে হয়….
আমারও সাদামাটা প্রকাশই প্রিয়… যেখানে হৃদয়ের টানটুকু দামী সেখানে বাইরের সৌন্দর্যে রূপটান না হলেও চলে… জানি তো….!! 🙂
অঃ: আমার একটা কবিতা, মনে পড়ল :
এতদিনে কি হল সময়
তুমি এলে এই অবেলায়!…
দিনান্তের এই বালুকাবেলায়
আলোও যে বড় রহস্যময়!!
যারা ঝরেছিল বৃষ্টি হয়ে
রামধনু রঙ মেখে
তারা নিয়ে গেছে অনেকে
হাসি গান ভালবাসা, করেছে বিনিময় !!
দুঃখ হচ্ছে, কী যে তোমাকে দিই!
খুঁজে দেখি, সে রিক্ত হৃদয়
এখনো খানিক আছে বোধহয়
তাই যদি নাও শেষঅবধিই !!
মোঃ: চোখে জল এলো বুঝি এই পরম পাওয়ায়….
সেই যে… তিনি বলে গেছেন…. ” তেয়াগিলে আসে হাতে… দিবসে সে ধন হারায়েছি… আমি পেয়েছি আঁধারও রাতে… “… তেমনই খানিক….
আমি তো চাইতে শিখিই নি কখনো তেমন করে..
তাই এই যে একটি হৃদয়গ্রাহী ভালোবাসার আশ্রয়… সেই পরমপাওয়াটুকু ছাড়া আর কিই বা চাওয়ার থাকতে পারে…!? 🙂
আর, সেই সমস্ত পাওয়ার পিছনেই তো আঁধার ঘেরা রহস্যময়তা থাকেই!… তার মধ্যে দিয়েই তো ভোরের রবি ওঠে,… কুয়াশার মধ্যেই তো আমের মঞ্জরী কখন যে দেখা দেয়!!…
আসলে, তিনি আসবেন, সে বুঝি নির্দিষ্টই থাকে…
তাই তো আসন পাতা থাকে পলাশে কিংশুকে
তাই তো পাতা ঝরা পথে তোমার আগমনী
তাই তো আকাশ চেয়ে থাকে অনন্ত উৎসুকে
জ্যোৎস্না তোমার ভিজিয়ে দেয় আঁধার যামিনী!!
অঃ: আহাহা.. কী লিখলে গো!!… খুব সুন্দর!..
এই মুহূর্তে তোমার কপালে একটা চুমু দিতে ইচ্ছে করছে।… কী যে মিষ্টি লাগছিল তোমায়, ভিডিওটায়!!
মোঃ: বেশ। সেটুকু আজ আমার তিলক হোক তবে… 😍
ভালোবাসা জিনিসটি বড্ডো জটিল এই বুঝেছি… আমার এ যাবৎ জীবন যাপনে…
প্রথমতঃ, হৃদয় ঐশ্বর্যে সবাই ধনী হয় না… আর আমি যে আবেগ ছাড়া সাড়া পাইনা… তবে ভালোবাসবো কি করে…!?
মনের তল পাওয়া অত সহজ নয় তো…
তবুও ভালোবাসি…. সহজতায় মিশি… আমি ভণিতা পারি না… গায়ে পড়ে বানানো তোষামদে মন গলাতে পারি না… শিখিনি কখনো… আমি সেটুকুই প্রকাশ করতে পারি যেটুকু আমার মনে দাগ কাটে এবং তা প্রকাশ করি একান্তই অকপট ভাবে….
এই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া স্বভাবজাত সহজতা আমার সম্পদ… কিন্তু তাবলে, সে আমার সহজলভ্যতার certificate নয়… সেখানেই সবার ভুল হয়… আমার সহজতা… জলবায়ুর মতই কেমন taken for granted হয়ে যায়… বিবেক আমায় আর সেখানে প্রকাশ হতে দিতে চায় না… যত ব্যথাই হোক সরে আসাই শ্রেয় মনে হয়…
তবে দেখুন… জীবনপাত্র কক্ষনো খালি থাকে না… অনেক দ্বিধা কাটিয়ে সামান্য একটি… ” কেমন আছেন ” জিজ্ঞাসা…. এমন আলোর পথ খুলে দেয় কখনো কখনো যাতে সমস্ত অন্ধকারকে আলোর পাঠ পড়ানো যায়… মনে হয় এই জন্যই তো বেঁচে থাকা সার্থক… জীবনকে আরো একটু ভালোবাসতে ইচ্ছে করে… চোখে জল আসে…. 🙂
অঃ: তুমি আবার কাঁদছ!?… কেন গো!?…
তোমার কথা শুনে তো বুঝতে পারছি, তোমার আগে কিছু ঘটনা ঘটেছে… কোথাও মন থেকে সাড়া দিতে পারোনি… কোথাও ব্যথা পেয়ে সরে আসতে হয়েছে। ছাড়ো সে সব। আমার কাছে এসেছ… ব্যথা দেবো, এমন নয়… কিন্তু, আমার অভিজ্ঞতা আমার আবেগকে যে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে রাখতে পারেনি !!… সে যদি তোমার চাহিদা মত অপরিমিত না হয়!!…
একটা কথা কি মনেহয় জানো!?… বয়স একটা সংখ্যামাত্র হলেও, কখনো কখনো সে একটা মৌলিক সংখ্যাও হয়, যা বিভাজিত হয় না।… সে ভয়টুকু আমার রয়েই গেল।
মোঃ: থাক।… সে ভয়টুকু আমাকেও অনেক বেশী নির্ভয় করবে। আর, অপরিমিত আবেগের ক্রেডিট কার্ড ভাঙিয়ে আমায় দিতে হবে, এমন চাহিদা বা প্রয়োজন আমার সত্যিই নেই।…
কিন্তু, কোথাও একটা নিঃসঙ্গতা দানা বাঁধছে, সেটা যে ঠিক কি এক্ষুণি বলে বোঝাতে পারব না… কিছুদিন যাক… হয়তো আপনি নিজেই বুঝতে পেরে যাবেন!
সে যাক… এ কদিনের মধ্যে কে কাকে কিভাবে ডাকব, তা-ই তো ঠিক করে নেওয়া হল না!! 😊
আমার পোশাকি নাম ‘মোনালিসা’,…অবশ্য আরো নাম ছিল, ‘শুক্তি’, ‘হিমানী’!… দুই দাদুর ও মায়ের দেওয়া। সেগুলি তাঁদের অবর্তমানে ক্রমশঃ অপ্রচলিত হয়ে গেছে।
ঠোঁট চেপে হাসতাম বলে এক দাদু নাম দিলেন, মোনালিসা… যুগের হাওয়ায় যার ‘সা’টি উড়ে গিয়ে ‘মোনালি’ হয়েছে… ওটাই রয়ে গেল…
‘শুক্তি’ নামটি আরেক দাদুর দেওয়া… তিনি বলতেন, ওর অন্তরে মুক্তো আছে… হা, হা, হা… ভালবাসায় কোন যুক্তি খাটে না!… আর, খুব ফরসা ছিলাম বলে, মা বলতেন ‘হিমানী’… ডাকনাম হলো, ‘হিমু’।… ইচ্ছে হলে তাও ডাকতে পারেন…
অঃ: এখনো আপনি করে বলতে ইচ্ছে করছে? সে দুরত্ব রাখতে চাও, তা মানতে আমার অবশ্য আপত্তি নেই। ‘তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও’…
তবে, আমি তোমায় হিমু নামে ডাকবো না… হিমানীর ‘মানী’ হয়ে থেকো… অভিমানী তো!…আরো থাকবে… মোনালিসা থেকে ধ্বনিসাপেক্ষে ‘মন’… আমার মন-ই তো!… সে-ই তো এখন থেকে ‘তুমি’ হয়ে তোমার মধ্যে পড়ে থাকবে!! 😊
তবু, ওসব নাম থাক… আমি তোমায় ডাকব কিন্তু অন্য নামে। ‘মোহনা ‘। বহিরঙ্গে। অন্যগুলি অন্তরঙ্গে।
তুমি তো আমার ‘মোহনা’ই।… আমার ভেসে যাওয়ার মোহনাতেই তো তোমার দেখা পেলাম… প্রথমদিনই লিখেছিলাম না!? আর, তাছাড়াও তুমি তো এখন আমার ‘মোহ’, না!? 😊
না, তুমি আমার মোহ নও.. তুমি আমার মোহনা… তোমার বুকে ভেসেই তো সাগরসঙ্গমের অসীমতায় এ আমার অন্তিম অভিসারযাত্রা!!
মোঃ: কী যে বলো ডাক্তারবাবু!! 😊… হ্যাঁ, আমি ‘ডাক্তারবাবু’ বলে ডাকবো… সে আমার আহ্লাদী ডাক।…আপনার প্রোফাইলে দেখেছি তো!!… ডাক্তারি ছাড়াও আরো কত কী যে করেন!!… এখন তার কিছু আভাস পাচ্ছি।
আর, ‘আপনি’টুকুর মধ্যে এমন শ্রদ্ধা এবং সমীহ মিশে আছে যে সে মোহ থেকে বেরোতে ইচ্ছে হচ্ছে না এ মুহূর্তে… তবু, কেন যে মাঝে মাঝে ‘তুমি’ এসে যাচ্ছে!! 🙂
অঃ: 👍 কোন আপত্তি নেই। কুলুঙ্গীতে রেখে ধূপধুনো দিতে পারো। আবার মাটিতে বসে মুখোমুখি, ”গভীর দুখে দুখী”ও হতে পারো।😊
মোঃ: .. আবার দুহাতে জড়িয়ে ধরে অনুভব করতে পারি যে… জীবন মানে আসলে একবুক আশ্বাস… আশ্রয়… স্বস্তি…. 🙂
অঃ: আশ্বাস, আশ্রয়, স্বস্তি… হয়তো দিতে পেরেছি অনেককে…. but, in return… জগৎ বড় বিশ্বাসঘাতকতার, বেইমানের… বেশীরভাগ। সে অভিজ্ঞতা হয়তো অনেকেরই হয়!
তোমাকেও কি বারে বারে হারাতে হয়েছে অনেককিছু !?
মোঃ: হ্যাঁ তো…. আঘাত পেতে পেতেই তো অন্ত:করণ খাঁটি সোনার হয়… নইলে তাতে খাদ থাকে যে!… তাই আঘাতটুকু আশীর্বাদ … তাকে মাথায় ধারণ করলে আর কোন ক্লেশ, কোন অভিযোগ থাকে না…
তবে, আপনাকে ভালোবাসি….ভালবেসেফেলেছি যে!!…
ব্যথা ছাড়া ভালোবাসা হয় না কখনো…. সেই দাড়িবুড়ো বলে গেছে না!.. আকাশের বুকে ব্যথা বাজে বলেই সে অকাতরে দু-হাত ছড়িয়ে ভালোবাসতে পারে…. নইলে সেই দেনা-পাওনার একঘেয়ে হিসেবে আটকে গিয়ে তারও ছন্দপতন হতো বুঝি…. ! 🙂
অঃ: তবে এমন অনলাইন ভালবাসার অনুভব আমার আগে হয় নি, হে প্রিয়তমা 😊। লঘু করছি না। তবে, তার অস্তিত্ব অন্যরকম ছিল। আর আজ, সময়ের এই বহুদূর বিস্তৃত দুপ্রান্তে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে আমরা দুজনে দুজনকে ছুঁতে চাইছি, এক অনতিক্রম্য ভবিতব্যে।
মোঃ: তবু বলছি, আবার চুপ করে যাবেন না যেন,… যেমন দেড় বছর আগে ছিলেন! কেমন…!?
আমি হারাতে ভয় পাই… তবু হারাতে হয় বার বার… নিজেকেও ভালোবাসতে পারি না তখন….
ভাগ্যিস… আধ্যাত্মিকতায় একটুআধটু টান আছে… তাই নিজেকে বুঝিয়ে উঠি যেন-তেন ফের… তারপর সেই পরম শক্তির ওপর ফের বিশ্বাস দৃঢ় হয় যখন আপনার মতো এভাবে কেউ অকারণ একরাশ সুখ উজাড় করে দেয়… ধন্য হই…
অঃ: “ যা হারিয়ে যায়, তা আগলে রেখে রইব কত আর!”… সে আগলে রেখে লাভও নেই।
চুপ করে যেতে মানা করেছ…
কিন্তু, মুখ খুললে যদি ঝড় উঠে যায়? সামলে নিতে পারবে তো! 😊… ভয় পাবে না তো!?
মোঃ: কাকে ভয় পাবো…!?
আপনাকে…!? 🙂 কি লুঠ করতে পারবেন…!? আমি তো সিন্দুকের তালা ভেঙ্গে ফেলেছি… এবার দিয়ে সুখ.. আর আগলানোর ভয় নেই… হারানোরও… 🙂
তবে, এমন ভালোবাসায় ভয় পেতেও রাজি আছি.
কিন্তু, কী ভয় দেখাতে পারবেন শুনি….!!?? 😊
কি চাও … বলতো…!?
দেখি কত অকপট হতে পারো….!!! 😊
কিন্তু কী বলছ এসব !?… এমন বলার কারণ আছে নিশ্চয়ই !?…কিছুইতো বুঝতে পারছি না।….
মোঃ: হা হা… কি করবো… ভালোবাসায় সহজতা না দেখিয়ে ভীতু হই কি করে…!? স্বভাব বিরুদ্ধ আচরণ রপ্ত হয়নি যে আমার…!! 🙂
অঃ: সামলাতে পারবে তো! 😃
মোঃ : বিলক্ষণ…!!😃
অঃ : পারবে না।
মোঃ: তাই বুঝি….!? 🙂
তবে তো পরীক্ষা করে দেখতে হবে… তার আগে অবশ্য ঠিক করতে হবে জিতলে কি উপহার আর হারলে কি শাস্তি হবে… 😃
অঃ: তুমি যা বলবে। যাকে ভালবাসা যায়, তার জন্যে সব করা যায়। হ্যাঁ, অবশ্যই সেটা সাধ্যের মধ্যে হওয়া চাই।
মোঃ: হ্যাঁ তো…. আমায় যদি বলেন এই মুহূর্তে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে.. সেটি যেমন সম্ভব নয়… তেমনি আমি যদি বলি আমায় চাঁদে নিয়ে যেতেই হবে… সেটিও তেমনই সম্ভব নয়…
আর জানেন… এই অসম্ভবটুকুর উপস্থিতির জন্যই তার মাধুর্য বেড়েছে বহুগুণ
অঃ : তুমি আর আপনিটা গুলোচ্ছে, এখনো।… জোর কোরো না… স্বাভাবিকভাবে যখন আসে আসুক।
সে যাক, শাস্তি আর পুরষ্কারটা কী চাও শুনি!
মোঃ: ওমা… বাজি তো আপনি ধরলেন যে, আমি পারবো না… তবে পুরস্কার বা শাস্তি বিচারের দায়টুকু আপনার ওপর ন্যস্ত হওয়াই তো উচিত!
অঃ: আচ্ছা।… তবে, ভেবে রাখো, তুমি কী শাস্তি বা পুরস্কার পেতে চাও।
তবে তুমি জিতলে, আমার বুকে তোমায় রেখে দেওয়া ছাড়াও আমি আরো যা দিতে চাই, তা পরে বলবো।
মোঃ: আগে আমার দ্বারা অসম্ভব কাজটির বিষয়ে তো অবগত হই… তারপর শাস্তি বা পুরস্কার বলবো না হয়… এ আর এমন কি…!? 😊
অঃ: আচ্ছা, পরে বলছি।
তবে, আগের সব কথার একে একে উত্তর দেবেই।
মোঃ: হ্যাঁ… দেবো তো… নিজেকে এমন নিশ্চিন্ত প্রকাশ যেখানে করতে পারবো… সেখানে আটকাবো কি করে নিজেকে…!?
অঃ: আমাকে তোমার ভয় পেতে হবে না। আমাকে সেভাবে জানলে, একথা বলতে হত না।
আমাকে হারাতে না চাইলে, হারাবে না। কিন্তু ওই যে বললে,উপস্থিতির গুরুত্ব! না থাকলে, আমিও থাকবো না। আমাকে ছেড়ে দেবার একটা ভাল point তোমাকেও দিয়ে রাখলাম।
মোঃ: বেশ তো… উভয়ে একই মর্যাদায় বিশ্বাসী যখন.. বিশ্বাসের ওপর খানিক আস্থা করলামই না হয় চোখ বুজে… 🙂
” ফুল সে হাসিতে হাসিতে ঝরে..
জোছনা হাসিয়া মিলায়ে যায়..
হাসিতে হাসিতে আলোকসাগরে…
আকাশের তারা তেয়াগে কায়… “
সুখ আসলে দানে… সমর্পণে… এই সহজ সত্যটাই বুঝে উঠতে জীবন পার হয়ে যায় বুঝি বা…
” তোমারি ওই অমৃতপরশে আমার হিয়াখানি…
হারালো সীমা বিপুল হরষে উথলি উঠে বাণী…
আমার শুধু একটি মুঠি ভরি
দিতেছ দান দিবস-বিভাবরী…
হল না সারা, কত না যুগ ধরি…
কেবলই আমি লব….!! ” 🙂🙏
আর, তবুও হারিয়ে যেতে চাইলে আমায় শেষমেশ জড়িয়ে আদর করতে দিতে হবে…. এর চেয়ে সহজ আর মধুর নির্ভুল অস্ত্র আর তো কিছু নেই আমার…. 🙂
অঃ: নিঃসীম শূন্য ছাড়া আকাশের আর হারিয়ে যাওয়ার জায়গাই বা কোথায়!?
আর, তোমার ভালবাসা ছেড়ে কোথাও পালানো যায় নাকি! আমার একটা গানের পঙক্তি আছে :
‘এমন ভালবাসা ছেড়ে নকল সুখে ভাল থাকার শিখিনি কারসাজি’… বুঝলে!?😊
তোমার কাছে আমার আসাটা যেমন তোমার মনে হচ্ছে, পরমপাওয়া!, তুমিও আমার কাছে তেমনই। কিন্তু কুলুঙ্গিতে ঠাকুর সাজিয়ে বসিয়ে রাখলে শুধু মুখ বুজে নৈবিদ্যিটুকু গ্রহণ করা ছাড়া কিছু করার থাকবে না। আর, যদি জ্যান্ত একটা মানুষ ভাবো, তাহলে তোমায় নিয়ে আমি উড়ে যেতে পারি… ; কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা…
মোঃ: আপনি আমায় অনেকখানি থিতু করলেন… ঠিক প্রকাশ করতে পারছি না শব্দে…
কি যেন খুঁজে খুঁজে সারা হয়ে যাচ্ছিলাম…. নিজের সাথেও সদ্ভাব কমে যাচ্ছিলো বুঝি… এখন ফের আমার গল্প বই পড়তে ইচ্ছে করছে… গান গাইতে ইচ্ছে করছে… কি ভাবে ধন্যবাদ জানাই বলুনতো আপনাকে…!?
অঃ: আমি কি আর ধন্যবাদ পাবার জায়গায় আছি? আমি এখন তোমাকে নিয়ে মেঘের আড়ালে। কেউ দেখতে পাবে না। 🙂