মানুষের মতো হ্যাংলা, স্বার্থপর ও অভিমানী জীব এই পৃথিবীতে আর একটিও নেই…
বাইরের চোখ দুটোকে শেকলের মধ্যে বেঁধে রাখলেও মানুষের ভেতরের চোখ দুটোকে বাঁধার মতো কোনো শেকল আবিষ্কার হয়নি এখনো পর্যন্ত!…..
মানুষের অন্তরের চোখে ঈর্ষা লুকিয়ে থাকে, হ্যাংলামি লুকিয়ে থাকে, হারিয়ে ফেলার ভয় লুকিয়ে থাকে, একটা মানুষ লুকিয়ে থাকে, যাকে সে সবার আড়ালে বাঁচিয়ে রাখতে চায়….
সেই চোখ চায় ভাত খাওয়ার পর কেউ একজন জলটা, মৌরিটা এগিয়ে দিক একগাল হাসি মুখে।
বিছানার চাদরটা, জানলার পর্দাটা পাল্টে দিক নিয়ম করে, শাড়িটা, জামাটা মেলে দিক রোদে, ইস্ত্রি করে আলমারিতে তুলে রাখুক….
লাইনের উপর দিয়ে বেসামাল হয়ে হাঁটলে কেউ একজন পেছন থেকে এসে হাতটা টেনে বকাবকি করুক।
এক সমুদ্র অভিমান বুকে পুষে সারাদিন গাল ফুলিয়ে থাকলে, কেউ একজন এসে দুটো কথা বলুক, নাকটা টিপে দিক ভালো করে, চুল টেনে ঘাড়ের কাছে চুমু খেয়ে রাগ ভাঙাক, আদর করুক ঠোঁটে ঠোঁট ঢুকিয়ে…
ন্যাড়াগাছে ফুল ফোটানোর মতো মানুষের ভেতরের যে শৃঙ্খলমুক্ত চোখ আছে! সেই চোখের ভেতর একটা আকাশ আছে, একটা ঘর আছে, একটা ছাদ আছে, আর নিজের বলার মতো ব্যক্তিগত একটা মানুষ আছে।
ইগোর পাহাড় সরিয়ে কাছের মানুষটা এসে একবার যদি জিগ্যেস করে “কী হয়েছে”….
ড্যাম শিওর মনের ভেতরের শুকনো চোখ বেয়ে দু চার ফোঁটা অভিমান ঝরে যাবে, মানুষ আবার ভালোবাসায় ফিরতে পারবে…