• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছ কবিতায় সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়

চলে গেলো এক বুদ্ধ

চতুর্দিকে তালা চাবি সবকিছু আজ নিশ্চল,
মানুষের জীবনে রোজ অদ্ভুত এক হরতাল।
ঘরে বসে তখন করছি দিনগত পাপক্ষয়,
মাইকে বলে যায় শুনি মুখ ঢাকলে জীবন হবে নির্ভয়।
এমন করেই কেটে যাচ্ছিল একেকটি দিন,
হঠাৎ এক সকালে হাতে এলো এক দৈনিক প্রতিদিন,
চোখ দিতেই দেখি বিপর্জয় সংবাদ !
এখন শুধু …চোখের জলে
কাগজের পাতায় স্মৃতিতে ভাসছে শৈশব,
নৈঃশব্দ্য ঘটে গেছে মনের অজান্তে এক বিপ্লব।

যদিও কোনোদিন..
ভাবিনি এমন করে চলে যাবে এক বুদ্ধের গল্প,
সুতোছেঁড়া শৈশবের পৃষ্ঠাটি এতোটাই ছিল স্বল্প !
চমকে উঠি যা শৈশবের স্মৃতিতে ছিলো অল্পস্বল্প।

বড়ই অসময় ছিল তাই..
সে ঘুমিয়ে পেয়েছে এখন শান্তির আশ্রয়,
পাড়ার পাশে চলে চলছে এক একটি বিস্ময় !
ভাবছি হয়তো আবার অজান্তেই ঘটে যাবে,
এবার এক একটি শ্রেনী বিপর্যয় !
তবে বুদ্ধ আর হাসবে না ইস্কুলের জানালায়।

মা জলের মতন

একটা বটগাছ চলে যাওয়ার পরে
বেঁচে আছি, একটা নিমগাছ আঁকড়ে ।
সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে ,
আগলে রাখে‌ আমাকে দুচোখ ভরে।
ছেলেবেলা থেকে শুনছি,
নীলষষ্ঠী অশোকষষ্ঠী আজব সব নাম ।
আরো কত কি অজানা
আজব গল্পে ভরা মায়ের নামগান !
শৈশব থেকে আজও যত ভুল হয়
সকাল সন্ধ্যে চোখে চোখ রাখলে ভুল ভেঙে যায়
আমার সাত খুন মাফ হয় !
সবসময় একটা ভরসা খুঁজে পাই,
মা জীবনের চরম দুর্দিনে পথ দেখায় !
একটি পাত্রে জল রাখলে,
যেমন তা পাত্রের আকার নেয় !
মা, সবেতেই ছড়িয়ে পড়ে নিজের মতো করে
তাই তো সব মেয়েরা জন্মের পরে মা
তেমন আমার মা ও তাই !
এই চরম দুর্ভোগের দিনে
তাই রোজ বলে থাকিস দুধে ভাতে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।