বিতান আমি তোমাকেই বলছি। তুমি শুনতে পারছো কি? কান রাখো গ্রামোফোনে নইলে কানে দুম শুনবে। আমাদের দারুণ প্রেমের সময় এখন ভরাট বুকের মরশুমে, ফাগুনে। বিতান আমাদের ঘরের সেনা মরেছে, লাশ। আমরা এখানে ঘর বাঁধবো কোথায়, চারদিকে আলতা পায়ের ছাপ, ওসব রক্ত। এ ভূখণ্ডে আমরা জন্ম দেবো না আমাদের ভালোবাসাকে, ওর গায়ে যদি লাল লাগে। চলো দুধগঙ্গা ঢেলে ধুঁয়ে দিই, দুধ আলতা আঁকি। ও লাল অমর
এদেশের মধ্যেই একটা বিদেশ আছে, আসলে শহর, মেঘনামা শহর। ওখানে যুদ্ধ নেই। কান্না নেই, অশ্রুসজল আবেগের অভাবও নেই। যাবে আমার শহরে? চল পালাই মেঘনামায় উড়ে
বিতান, আমরা পালাচ্ছি? না, আমরা বরং প্রতিজ্ঞাবাক্য পাঠ করি ইউক্যালিপ্টাস হাতে নিয়ে, আমরা মেঘনামায় যাচ্ছি গোটা ব্রহ্মাণ্ডে মেঘ নামাবো বলে। আকাশকে ভাগ করা যায় না, মেঘকে বন্দি করা যায় না- ওরাই নামুক। ওরাই পারবে এক পৃথিবী লস্যি বানাতে, কাজু লস্যি, আমরা খাবো আর খাওয়াবো রেশন করে। রেশন কার্ডে লেখা থাকবে –
আমরা লাল বলতে ভালোবাসা বুঝি
তাই আমাদের রক্ত সাদা
আমারা c/o মেঘনামা